আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

মহাবোধি বিহারের নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধদের কাছে হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

মহাবোধি বিহারের নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধদের কাছে হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট


১৯৪৯ সালের বোধগয়া মন্দির আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে দায়ের করা একটি আবেদন গতকাল সোমবার ৩০ জুন, ২০২৫ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা এই আবেদনটির শুনানি করেন। বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আবেদনকারীকে পাটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, "আমরা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে এই আবেদনটি গ্রহণ করতে আগ্রহী নই। তবে, আবেদনকারীকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে।"

শুনানির সময়, বিচারপতিরা আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে চাওয়া ত্রাণের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জবাবে আইনজীবী বলেন, "আমি প্রার্থনা করেছি যে বোধগয়া মন্দির আইনকে অতি-ভাইরাস (ক্ষমতার বাইরে) ঘোষণা করে বাতিল করা হোক।"

বেঞ্চ তখন মন্তব্য করে, "কেন আপনি হাইকোর্টে এটি করছেন না? আমরা কীভাবে একটি ম্যান্ডামাস জারি করতে পারি? দয়া করে হাইকোর্টে যান।"

সুলেখা দেবী নলিনী দেবী নারায়ণরাও কুম্ভারে এই আবেদনটি দায়ের করেছিলেন। তিনি আদালতকে কেন্দ্র এবং বিহার সরকারকে ১৯৪৯ সালের আইনটি সংশোধন করতে এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছিলেন। আবেদনকারী যুক্তি দিয়েছিলেন যে বর্তমান শাসন কাঠামো, যেখানে রাজ্যের তত্ত্বাবধানে হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় প্রতিনিধিই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তা বৌদ্ধদের ধর্মীয় অধিকারকে ক্ষুন্ন করে। তিনি তাদের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে সম্পূর্ণ বৌদ্ধ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।

১৯৪৯ সালের বোধগয়া মন্দির আইন মহাবোধি মন্দির কমপ্লেক্সের উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রণীত হয়েছিল, যা বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটিতে একটি ৫০ মিটার উঁচু বিশাল মন্দির, বজ্রাসন (ডায়মন্ড সিংহাসন), পবিত্র বোধি বৃক্ষ এবং ভগবান গৌতম বুদ্ধের জ্ঞান লাভের সাথে যুক্ত আরও ছয়টি পবিত্র স্থান রয়েছে। সপ্তম স্থান, পদ্ম পুকুর, মূল ঘেরের বাইরে অবস্থিত।

চলতি বছরের এপ্রিলে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহাও ১৯৪৯ সালের আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি মহাবোধি মহাবিহার মন্দিরের প্রশাসন বৌদ্ধদের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আরও আইনি লড়াইয়ের পথ খোলা রইল, তবে এখন হাইকোর্টের মাধ্যমে উপযুক্ত ফোরামে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে।

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান: ধর্ম প্রচার ও জ্ঞানের আলোকবর্তিকা

বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান: ধর্ম প্রচার ও জ্ঞানের আলোকবর্তিকা

অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান (৯৮২–১০৫৪ খ্রিঃ) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত, আচার্য এবং ধর্মপ্রচারক, যিনি পাল সাম্রাজ্যের শাসনামলে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


জন্ম ও শৈশব

অতীশ দীপঙ্করের জন্ম ৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন রাজা কল্যাণশ্রী এবং মাতা প্রভাবতী। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয় চন্দ্রগর্ভ।

শিক্ষা ও দীক্ষামাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি নালন্দা মহাবিহারে অধ্যয়ন শুরু করেন এবং আচার্য বোধিভদ্রের নিকট শ্রমণ দীক্ষা গ্রহণ করেন, তখন তাঁর নাম হয় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। পরবর্তীতে তিনি বিক্রমশীলা, ওদন্তপুরী এবং অন্যান্য বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রে অধ্যয়ন করেন। তিনি তন্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে পারদর্শিতা অর্জন করেন।

ধর্মপ্রচার ও তিব্বত যাত্রা

তিব্বতের রাজা ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস’-ওদ অতীশ দীপঙ্করকে তিব্বতে আমন্ত্রণ জানান। প্রথমে তিনি এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু পরবর্তীতে রাজা বন্দী হলে এবং তাঁর পুত্র ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ অতীশ দীপঙ্করকে তিব্বতে আনতে উদ্যোগী হন। ১০৪০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তিব্বতের থোলিং বিহারে পৌঁছান এবং সেখানে বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


সাহিত্যকর্ম ও দর্শন

অতীশ দীপঙ্কর বহু গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'বোধিপথপ্রদীপ'। এই গ্রন্থে তিনি বোধিসত্ত্বের পথ এবং মহাযান বৌদ্ধ দর্শনের মৌলিক দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন।


মৃত্যু ও উত্তরাধিকার

তিব্বতে ১৭ বছর ধর্মপ্রচারের পর ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নিঃশেষ হন। তাঁর প্রধান শিষ্য ব্রোম-স্তোন-পা-র্গ্যল-বা'ই-'ব্যুং-গ্নাস কাদম্পা সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে গেলুকপা সম্প্রদায়ের ভিত্তি হয়।


সম্মান ও প্রভাব

২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিদের তালিকায় তিনি ১৮ নম্বরে স্থান লাভ করেন। [5] তিব্বতে তাঁকে 'জোবো ছেনপো' বা 'মহাপ্রভু' উপাধিতে অভিহিত করা হয়। [3]


📌অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন এক অনন্য বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত, যিনি জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবতাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম আজও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।


বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

মিয়ানমার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের  সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা

মিয়ানমার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা

মায়ানমার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক সংগৃহিত  সহায়তা পৌঁছে দিতে, ৫ জন সাংঘিক ব্যক্তির একটি টিম সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খরচে  মায়ানমার যায়।প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, ১/ ভদন্ত প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির ২/ ভদন্ত মৈত্রীপ্রিয় মহাস্থবির, ৩/ ভদন্ত ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির, ৪/ভদন্ত প্রজ্ঞাবোধি মহাস্থবির, ৫/ ভদন্ত কে. শ্রী. জ্যোতিসেন মহাস্থবির।


বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মাননীয় প্রতিনিধি বৃন্দ আজ গত ১৯ মে সকালে ৩১৭টি ক্ষতি -গ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান করেন, ৭০০ব্যাডের সেনাবাহিনী হাসপাতালে রোগীদের আর্থিক অনুদান, সেনাবাহিনী হাসপাতালের চিকিৎসা তহবিলে ৫২লক্ষ কিয়েট প্রদান,কয়েক -টি বিহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,একটি মাদ্রাসা ও ৩টি মসজিদে মহাসভার মানবিক তহবিলের সহায়তা যাদের প্রয়োজন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষ থেকে এই মানবিক সহযোগিতার কথাশুনে তারা উপস্থিত প্রতিনিধি বৃন্দকে এবং বাংলাদেশীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষ থেকে বলেন যারা তহবিল সংগ্রহ করার জন্য দিনরাত কাজ করেছে তাদের জন্য কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ, যারা মানবিক সহযোগিতা করেছেন তাদের দান মহাসভার মাননীয় প্রতিনিধি বৃন্দ প্রতিক্ষণ প্রতিটি মুহুর্তে ভুক্তভোগীদের হাতে সরাসরি তুলে দিচ্ছে।



সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

 মায়নমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ ও মাদ্রাসাতে সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা'র প্রতিনিধি দল।

মায়নমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ ও মাদ্রাসাতে সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা'র প্রতিনিধি দল।


মানবিক সহায়তা প্রদানের সময় 
মায়নমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ ও মাদ্রাসাতে সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা'র প্রতিনিধি দল।বিগত ২৮মার্চ-০২৫খ্রিঃ প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প যে দিন হয়েছিল সেদিন ছিল শুক্রবার (জুম্মাবার) সকলে মসজিদে নামাজে ছিল যার করাণে মৃত্যুর সংখ্যা বেশী, মাদ্রাসায় ১জন,মসজিদে ১৩জন ও আর এক মসজিদে ৪জন।। মায়নমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ ৩টি মসজিদ ও ১ টি মাদ্রাসাতে সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করছেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা'র প্রতিনিধি দল।
মহাসভার মানবিক তহবিলের সহায়তা যাদের প্রয়োজন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মুরব্বি মুসল্লীরা ভিক্ষুদের দেখে এবং বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষ থেকে এই মানবিক সহযোগিতার কথাশুনে তারা উপস্থিত প্রতিনিধি বৃন্দকে এবং বাংলাদেশীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বুদ্ধ পূর্ণিমা আর বিহার রাজ্যের গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খান বোধগয়া মন্দিরে অনুষ্ঠানের সময় তথাগত বুদ্ধকে স্মরণ করেননি, বরং অন্যান্য দেব-দেবীর ধ্যান করেছেন, যা বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ উপাসকদের মনে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। উপরোক্ত মতামত প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাব বৌদ্ধ সোসাইটি পাঞ্জাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট হরভজন সাম্পলা। অ্যাডভোকেট সাম্পলা বলেন, রাজ্যপাল হলেন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। কিন্তু তাদের এই আচরণ নিন্দনীয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এই কালো কাজের জন্য তিনি রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন। 


বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভ উপলক্ষগুলি আর তথাগত বুদ্ধকে উপেক্ষা করা একটি ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র। বোধগয়া মুক্তি আন্দোলনের প্রতিবাদ সাইট বুদ্ধ পূর্ণিমায় এবং শ্রী লামা জির আবেদন আর ৩ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল। ভিক্ষু সংঘ, ভিক্ষু প্রজ্ঞা বোধি, ডঃ হরবনস বির্দি (পাঞ্জাব) এবং অল ইন্ডিয়া বৌদ্ধ সমাজের সাধারণ সম্পাদক আকাশ লামা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে রাজ্যপালের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত, কারণ তিনি তথাগত বুদ্ধকে সম্মান করেননি, বরং তাঁর মূর্তির দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা অন্যান্য দেব-দেবীর পূজা অব্যাহত রেখেছিল। বৌদ্ধ সম্প্রদায় ৫ জুন দিল্লির যন্তর মন্তর এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে এবং তার পদত্যাগ দাবি করবে।




সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

প্রতিবেদন - বিপসসী ভিক্ষু

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, স্পেন, থাইল্যান্ড, দুবাই ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় গত ৩০শে আগষ্ট কলম্বো Sri Ganaseeha Viharaya তে বিশেষ কৃতজ্ঞ পূজার আয়োজন করা হয়।

 Sri  Suvarati Maha viddalaya এর সহকারী শিক্ষক Panamure Rahula Thero এর উপস্থাপনায় উক্ত আয়োজনে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘের( Ramañña Maha Nikaya) মহামান্য অনুনায়ক Dr. Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi. 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. 

প্রধান অতিথির(Chief Guest) আসন অলংকৃত করেন-Mr. Md. Reyad Hossain, Counsellor(political) Bangladesh High Commission. 

বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে -Director of Piriven Education Most Venerable Watinapaha Somananada Nahimi, Most Venerable Akuresse Ariyasagara Nahimi প্রাদেশিক সভার সেক্রেটারি Mrs. Dhammikaa Bikramasingha এবং 

Honorable guest হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Mr. Md. Nizamul Islam, Third Secretary, Bangladesh High Commission. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ও শ্রীলঙ্কা ভিক্ষু সংঘের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে নাগেশ্বর চারা রোপনের মধ্যে দিয়ে কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করা হয়। 

উক্ত কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করেন-Most Venerable Soriyawewa Somananda Nahimi , Principle of Sri Lanka Maha Piriven and Sri Ghananaseeha Viharaya, Colombo. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে লিখিত সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন BBSCSL এর সভাপতি বিপসসী ভিক্ষু এবং তা সিংহলি ভাষায় উপস্থাপন করেন শ্রীমৎ অশ্বজিত ভিক্ষু। 

সুচনা বক্তব্যে বিপসসী ভিক্ষু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ হতে বুদ্ধের পবিত্র চুল ধাতু প্রদান, কৃতজ্ঞ পূজার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ভিক্ষুসংঘের যৌথ সামাজিক উন্নয়নের গুরত্ব আলোচনা করেন। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের জন্যে শ্রীলঙ্কার ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরনের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ রিয়াদ হোসাইন বলেন, শ্রীলঙ্কা তার বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা দূর করতে পারে পর্যটন খাতকে উম্মুক্ত করে। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধরা শ্রীলঙ্কায় তীর্থভ্রমণের সুযোগ পেলে তা শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশী বৌদ্ধদের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের শারিরীক গঠন, বর্ণ, সংস্কৃতি এবং একই বুদ্ধের আর্দশ অনুশীলন করে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান আলোচক -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. তিনি আরো বলেন এই কৃতজ্ঞ পূজায় তিনি অনেক আনন্দিত।

শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘও জনগণ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভাসহ সকল সহযোগিতাকারি বাংলাদেশী বৌদ্ধদেরদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ পূজার সভাপতি -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Anunayaka Dr. Most Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi তাঁর বক্তব্যে বলেন- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ব্যক্তি দুর্লভ। তিনি ইতিপূর্বে কখনো এই ধরনের আয়োজন দেখেন নি।বাংলাদেশী বৌদ্ধদের তিনি ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

একই সাথে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশী বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনের জন্যে সুযোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কৃতজ্ঞ পূজা আয়োজনটি Love from Bangladesh শিরোনামে ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে দি বুড্ডিস্ট টিভি। 

উল্লেখ্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে বাংলাদেশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেন,দুবাই, থাইল্যান্ডে অবস্থানকারী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১২০ টি পরিবার, ২ টি বৌদ্ধ বিহার ও পিরিবেনে ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার রুপির খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আরো ২৮ লক্ষ রুপির খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে কৃতজ্ঞ পূজা করা হবে। উক্ত কৃতজ্ঞ পূজায় যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।   

কৃতজ্ঞ পূজা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেছে Bangladesh Buddhist Student Council of Sri lanka এর সদস্যবৃন্দ।



বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে জলবায়ুর।চীনে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
পানি কমে কোথাও কোথাও জেগে উঠছে ডুবে থাকা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।



পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। দেখা দিয়েছে খরার। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ-নদীর পানি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি শহর চংকিং-এ ইয়াংজি নদীর অববাহিকায়জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায়প্রায় ৪৫ শতাংশ কম হয়েছে। এতেই নদীটির পানি শুকিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মূর্তি।

ইয়াংজি নদীর চংকিং-শহরের কাছে ভেসে উঠেছে ফয়েলিয়াং নামক দ্বীপ প্রাচীরের সবচেয়ে উঁচুতে থাকা ত্রয়ী বৌদ্ধ মূর্তি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বৌদ্ধ মূর্তিটি ৬০০ বছর আগে মিং এবং কিং রাজবংশের সময় নির্মিত।

এদিকে, নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখাদিয়েছে সাংহাই প্রদেশে। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সাংহাই শহরের নদীর তীরবর্তী বিল্ডিংগুলোতে সোম ও মঙ্গলবার আলো জ্বালানোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ সীমিত করা হয়েছে