স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অজয় বড়ুয়া মোটরসাইকেল নিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাচ্ছিলেন। দামতোয়ার এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. হাসান বলেন, “মোটরসাইকেল চালিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের গভীর খাদে পড়ে অজয় বড়ুয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মৃত্যুর পর তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই।
শতবর্ষী সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিংবদন্তি বৌদ্ধ মনীষা, সমাজ সংস্কারক, বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ছিলেন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বৌদ্ধ সমাজে।
রাউজান উপজেলার পুণ্যভূমি উত্তর গুজরা (ডোমখালী) গ্রামে ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর বাবা প্রেম লাল বডুয়া ও মা মেনেকা রাণী বড়ুয়ার ঘর আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন লোকনাথ বড়ুয়া। সেদিনের লোকনাথ কিশোর বয়সে মাকে হারিয়ে তাঁর মামা পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের কীর্তিমান সংঘ মনীষা ভদন্ত সারানন্দ মহাস্থবিরের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৪৪ সালে গৌরবদীপ্ত সংঘিক ব্যক্তিত্ব, উপ সংঘরাজ ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের কাছে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা নেন। পাঁচ বছর পর শ্রামণ্য ধর্মের ইতি টেনে ১৯৪৯ সালে গুরু ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের উপাধ্যায়ত্বে দুর্লভ উপসম্পদা লাভ করেন। উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামের সেদিনের সেই লোকনাথ আজ বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তি সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর আছে ৮০ বছরের প্রব্রজিত জীবন যেন এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সুদীর্ঘকাল বৌদ্ধ সমাজ গগনকে তিনি তাঁর মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, শ্রম, আত্মত্যাগ, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-
১. মুবাইছড়ি জ্ঞানোদয় পালি টোল, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।
২. ধর্মোদয় পালি টোল ও দশবল রাজ বিহার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।
৩. ত্রিপিটক প্রচার বোর্ড গঠন (মহামান্য ৮ম সংঘরাজ ভদন্ত শীলালংকার মহাথেরো মহোদয়ের যৌথ প্রয়াসে)
৪. মনোঘর অনাথ আশ্রম, ভেদভেদি, রাঙামাটি।
৫. চন্দ্রঘোনা জ্ঞানশ্রী শিশু সদন, বড়ইছড়ি, কাপ্তাই।
৬. কদলপুর অনাথ আশ্রম ও ভিক্ষু ট্রেনিং সেন্টার, রাউজান, চট্টগ্র্রাম।
৭. সংঘরাজ ভিক্ষু মহামণ্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ।
৮. ত্রৈমাসিক ধর্মায়তন পত্রিকা (সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের মুখপত্র)।
৯. জোবরা গুণালংকার বৌদ্ধ অনাথালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
১০. পশ্চিম বিনাজুরী ধর্মকথিক অনাথ আশ্রম, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।
১১. পশ্চিম বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।
১২. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বুদ্ধ বিহার, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।
১৩. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।
১৪. গুইমারা দেওয়ান পাড়া অনাথ আশ্রম, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।
১৫. উচাই সূর্যাপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
১৬. উচাই উপ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী নৃ-তাত্ত্বিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
১৭. নূরপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
১৮. বারকান্দি সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
১৯. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, পশ্চিম বিনাজুরী, রাউজান।
২০. বাংলাদেশ বুদ্ধ শাসন কল্যাণ ট্রাস্ট ।
২১. বান্দরবান উজিপাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার।
২২. নানিয়ারছড় দ্বিচান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী সাধনা বৌদ্ধ বিহার।
২৩. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী বৃদ্ধাশ্রম, পশ্চিম বিনাজুরী।
২৪. জ্ঞানশ্রী প্রভাতি পালিটোল, উত্তর গুজরা, ডোমখালী, রাউজান।
ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির অনেক সম্মাননা লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
১৯৮১ সালে থাইল্যান্ড থেকে শাসনশোভন জ্ঞানভানক উপাধি লাভ। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'বিনয়াচার্য' উপাধি লাভ। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'উপ সংঘরাজ স্বীকৃতি লাভ। ২০০৬ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক মহাসম্মজ্যোতিকাধ্বজ উপাধি লাভ। ২০০৭ সালে থাইল্যান্ডের মহাচুল্লালংকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ। ২০০৮ সালে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ থেকে স্বর্ণপদক ও উপাধি লাভ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক পুণ্যাচার-উ, গুণমেজু স্বর্ণপদক লাভ। WFBY থাইল্যান্ড কর্তৃক আউট স্ট্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড লাভ ২০১৪ সাল। ২০২০ সালের ২০ মে সংঘরাজ ভিক্ষু সহাসভার সর্বোচ্চ সম্মাননা মহামান্য ‘সংঘরাজ’ নির্বাচিত হন।
২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন। ২০২৩ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক ‘অগ্রমহাণ্ডিত’ উপাধি লাভ। ২০২৪ সালে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশি বুড্ডিস্ট কর্তৃক সম্মাননা ও সংবর্ধনা লাভ করেন।
সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর একান্ত চিকিৎসক ও বৌদ্ধ গবেষক প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, আমাদের কিংবদন্তী বৌদ্ধ মনীষা ও সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু প্রয়াত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো ভান্তের মরদেহ রাউজানের বিনাজুরী শ্মশান বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে আজ রাতে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভেষজ প্রক্রিয়ায় লাশ সংরক্ষণ করে রাখা হবে।
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫
রাঙামাটিতে হাসপাতাল থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার (৩৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সাথী বড়ুয়া (৩৭) রাঙামাটি জেলা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দেবাশীষ নগর এলাকার সুমন বড়ুয়ার স্ত্রী। সাথী বড়ুয়ার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার রাতের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতেও ডিউটিতে ছিলেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতের ডিউটি শেষে শুক্রবার সকালেও সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করেন সাথী বড়ুয়া। সেখানে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা বলেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে (পোশাক পরিবর্তন কক্ষ) যান সাথী বড়ুয়া। কিছুক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় সহকর্মীরা গিয়ে তাকে জানালার সঙ্গে দড়িতে ঝুলতে দেখেন।
এ ঘটনার পর দুপুরে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও সাথীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা উঠেছে। এটি নিছক আত্মহত্যা নাকি ভিন্ন কিছু? সেটি জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে; এমনটাই জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামাল জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছি। সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধারের সময় জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।রাঙামাটির সিভিল সার্জন ড. নূয়েন খীসা বলেন, সাথী বড়ুয়া গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেও নাইট ডিউটি করেছেন।শুক্রবার সকালে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে শরীর খারাপ লাগছে এসব কথা বলেছেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পর এমন ঘটনা ঘটলো। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে; ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কিছু ক্লু থাকতে পারে। তখন আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে।
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের রামুতে একটি বৌদ্ধ বিহার থেকে এক ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকুল পুরাতন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহত ভিক্ষুর নাম থুই নু মং মারমা, বৌদ্ধ নাম কিমা চারা (২২)। তিনি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দাপুয়া গ্রামের মং শিপ্রু মারমার ছেলে।রামু থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, স্থানীয়রা সকালে বিহারের ভেতরে ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ওই ভিক্ষু আত্মহত্যা করেছেন।মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হবে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঢাকার মহাখালীতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে কক্সবাজারের উষা বড়ুয়া নিহত
রাজধানীর মহাখালীতে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে উষা বড়ুয়া নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকালে ঊষা বড়ুয়া ঢাকা মহাখালীতে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ায় সময় এই ঘটনা হয়।
ঢাকার দুর্ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সকালে উষা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় অসচেতনতার কারণে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।
নিহত উষা বড়ুয়া কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার সংলগ্ন পশ্চিম মেরংলোয়ার রতন বড়ুয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।উষা ঢাকায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বিতে ফিল্ড রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর আগে তিনি সেখানে যোগ দেন। এর আগে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন।
বান্দরবানের ঘুমধুমে সৎ ভাইয়ের ছু’রি’কা’ঘা’তে ছোট ভাই সোহেল বড়ুয়া খু’ন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নং উত্তর ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুকল বড়ুয়া (২৫)। অভিযুক্ত বড় ভাইয়ের নাম সুপন বড়ুয়া (৩২) বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সুপন বড়ুয়া নিজ বাড়িতে এসে তার মায়ের সঙ্গে মারধরের চেষ্টা করলে ছোট ভাই সুকল বড়ুয়া বাধা দেন। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে এলাকাবাসী মীমাংসার চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সুপন বড়ুয়া ছুরিকাঘাত করে সুকল বড়ুয়াকে গুরুতর আহত করেন। দ্রুত তাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশ পাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফরুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সুপন বড়ুয়াকে আটক করেন।পলিশ জানায়, রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী উক্যচিং মারমা আর নেই
ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৪ – রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার উক্যচিং মারমা (১৪) আজ মঙ্গলবার ভোর ৩টায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সংকটাপন্ন অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছিল।
উক্যচিং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়ামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের উসাইমং মারমার ছেলে। উসাইমং মারমা রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
ভদন্ত সোমানন্দ মহাথের পরলোকগমন
চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ উপজেলার সমৃদ্ধ বৌদ্ধ পল্লী ফতেনগর গ্রামের দ্বারপ্রান্তে অবস্থিত ফতেনগর সার্বজনীন পূর্ব সুনীতি বিহারের পরম পূজনীয় সভাপতি ও বিহারাধ্যক্ষ, এবং চন্দনাইশ ভিক্ষু পরিষদের সম্মানিত সহ-সভাপতি শ্রদ্ধেয় ভিক্ষু ভদন্ত সোমানন্দ মহাথের (৬২) মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেন। জানা গেছে, তিনি মরণব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন।
পূজনীয় ভান্তে ফতেনগর গ্রামে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ভিক্ষু জীবন প্রতিপালন করেছেন। তাঁর নির্লোভ, নিরহংকারী, মিষ্টভাষী ও নীরব সাধকের জীবন অত্র গ্রাম তথা এতদ অঞ্চলে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর প্রয়াণে বৌদ্ধ সমাজে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ, বুধবার, ১৬ই জুলাই দুপুর ৩টায় প্রয়াত ভান্তের প্রথম অনিত্য সভা বিহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিহার মিলনায়তনে আরও একটি সভা আয়োজিত হবে।
বান্দরবানে থানচিতে শ্বশুরবাড়ির আঙ্গিনায় আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজন বড়ুয়া
গত সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বলীপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনকেএস অফিস সংলগ্ন শ্বশুরবাড়ির আঙ্গিনায় আম গাছে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পটিয়া উপজেলাধীন মৈতলা গ্রামের নন্দন বড়ুয়া এবং মৃত রত্না বড়ুয়ার কনিষ্ঠ সন্তান,বর্তমানে সুজন বড়ুয়ার ৫ বছরের এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সুজন বাগান পাড়ায় ফোসিং মারমার মেয়ের জামাই। দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতেন তিনি। সকালে তার শ্বশুর আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পাড়াবাসীকে খবর দেয়। এছাড়া থানায় পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।এটা পরিকল্পিত হত্যা কান্ড নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সুজন বড়ুয়ার আকস্মিক অকাল প্রয়াণে গ্রামবাসী ও পরিবার-পরিজন সকলেই বাকরুদ্ধ।গ্রামবাসী এটার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।গতকাল ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় সুজন বড়ুয়ার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পটিয়ার মৈতলা সদ্ধর্ম জ্যোতিঃবিহারে সু-সম্পন্ন হয়।
সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্মশান থেকে সুমন বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুমন বড়ুয়া (২৯) নামে এক রাজমিস্ত্রী সহকারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ার শ্মশান থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমন বড়ুয়া ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজার বড়ুয়া পাড়ার সচিন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে।
নিহত সুমনের মা আরতি বালা জানান, সকালে বাড়ির কাছেই স্থানীয় একটি শ্মশানের নির্মাণ কাজে যায় সুমন। দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। হেডমিস্ত্রী পায়ে আঘাত পাওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি চলে যাওয়ায় সুমন একাই কাজ করছিল। রাতে সুমন ঘরে না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়, কিন্তু ফোন রিসিভ হয়নি। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্মশানে সুমনের উপুড় হয়ে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি জানান, লাশের মুখের ডান পাশে থেঁতলানো দাগ ছিল এবং জিহ্বা কামড়ানো অবস্থায় ছিল। তবে অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপর রাজমিস্ত্রী মোস্তাহেরকে থানায় এনেছে। কী কারণে এই মৃত্যু হলো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
রামুর কচ্ছপিয়াতে খাল থেকে বিবিসন বড়ুয়া'র লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিবিশন বড়ুয়া অত্যন্ত সাদা-সিধে এবং সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। গত তিন দিন ধরে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে খালের পানিতে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহটির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশকে দ্রুত ঘটনার তদন্ত শুরু করতে বলেছে এলাকায় মানুষ ।
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
রাঙ্গুনিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে অজিত বড়ুয়া মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ৮ জুলাই, ২০২৫ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামের পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে অজিত বড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।আজ মঙ্গলবার ভোরবেলা এই ঘটনা ঘটে। হাতির আক্রমণে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।স্থানীয়দের মতে অজিত বড়ুয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ভোর রাতের কোনো একসময় পাশের বনে থাকা বন্যহাতির পাল সমতলে এসে তার ওপর আক্রমণ চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ফলহারিয়া এলাকার পাহাড়ি ছড়া ও আশপাশে বন্যহাতির দল প্রায়ই গ্রামে নেমে আসে।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয়ের পরলোকগমন
রাউজান, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার কৃতী ভিক্ষু ব্যক্তিত্ব এবং রাউজান খামার বাড়ি ধর্মদূত বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয় আজ সকালে পরলোকগমন করেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সদ্ধর্মপ্রাণ উপাসক-উপাসিকা এবং ভিক্ষু সংঘের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, আজ সকালে আহার গ্রহণের পর ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের অসুস্থতা অনুভব করেন। বিহারের দায়ক-দায়িকাগণ দ্রুত তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি করানোর পর তার রক্তবমি হতে থাকে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয়ের প্রয়াণ বৌদ্ধ সমাজে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার অবদান এবং স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন সকলে।
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে প্রাণ গেল রিমঝিম বড়ুয়ার
কক্সবাজার, ১৬ জুন ২০২৫: বিয়ের পিঁড়িতে বসার আর মাত্র কিছুদিন বাকি ছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ গেল পূর্ব রাজারকুলের হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে রিমঝিম বড়ুয়ার। আজ সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু রশিদ নগর এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় রিমঝিমসহ আরও এক পুরুষ ও এক শিশু যাত্রী নিহত হয়েছেন।
রামু হাইওয়ে পুলিশের ওসি নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পুরবী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী একটি কাভার্ড ভ্যান রামু রশিদ নগর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় যাত্রীবাহী বাসটি সড়ক থেকে ছিটকে গভীর খাদে পড়ে যায়। অন্যদিকে, কাভার্ড ভ্যানটি একটি গাছের সঙ্গে আটকে যায়।
ঘটনাস্থলেই যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী রিমঝিম বড়ুয়াসহ মোট ৩ জন যাত্রী নিহত হন। নিহত রিমঝিম বড়ুয়ার আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুলাই তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়ের আনন্দে যখন পুরো পরিবার উৎসবে মেতে ওঠার কথা, ঠিক তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনায় নেমে আসে শোকের ছায়া। যার বিয়ের সাজে মঞ্চে ওঠার কথা ছিল, তাকে আজ সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে চিরবিদায় জানাতে হবে।
দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন এবং আহত ৭ জনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই তার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য পরিচিত। প্রায়শই এই সড়কে বেপরোয়া গতি, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং চালকদের অসতর্কতার কারণে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ।
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাউজান হোয়ারাপাড়া বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমের আদিবাসী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া বৌদ্ধ অনাথালয়ে এনুছাই মারমা (১৫) নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এনুছাই এর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পূর্বগুজরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাবুল আজাদ জানিয়েছে অনাথালয়ের আবসিক ভবনের ৪র্থ তলার ছাদে পরিত্যাক্ত একটি কক্ষের পাখার রডের সাথে ওড়না গলায় পেঁছিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
আত্মহননকারী ছাত্রী খাগড়াছড়ি জেলার গ্যাংদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশিম তাইতং পাড়ার হুলাচুইসিং মারমার মেয়ে ও অগ্রসার অনাথালয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার ধারণা মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সে আত্মহত্যা করেছে। অনাথ আশ্রমের পরিচালক সুমিতানন্দ থের বলেছেন ওই ছাত্রী আগে রাঙ্গামাটির একটি আশ্রমে ছিলেন, কয়েক মাস আগে সে এই আশ্রমে এসে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অন্যান্যদের সাথে অনাথ আশ্রমে থাকছে। তার এক বোনও হোয়ারাপাড়া ডিগ্রী কলেজে আবাসায়িক ব্যস্থায় থেকে পড়া লেখা করছে। এই পরিচালক জানায়, তিনি ঘটনার ৭ দিন আগের থেকে ছুটিতে ছিলেন। বুধবার এসে এই ঘটনা শুনেছেন আশ্রমের থানা ছাত্রীদের কাছ থেকে। ঘটনা শুনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায় এনুছাই মারমা হলের চারতলার ছাদের দেয়ালের কয়েক জায়গায় এক যুবকের নামের সাথে যোগ চিহ্ন দিয়ে তার নাম লিখেছে। এই লেখার তার তারিখ লিখেছে ২০.০৯.২২। স্থানীয়দের ধারণা প্রেম ঘটিত কারণে কোনো আঘাত পেয়ে হয়ত ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করতে পারে।বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন আরিফ। পুলিশ সুপার বলেছেন ময়নাতদন্তের পর ঘটনা জানা যাবে।
নিউজঃরাউজাননিউজ থেকে নেওয়া
বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাউজানের দক্ষিণ জয়নগরে ফাঁসিতে ঝুলে এক যুবকের আত্মহত্যা
মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন ডা . তরুন তপন বড়ুয়া
অবশেষে না ফেরার দেশেই পাড়ি জমালেন ডা . তরুন তপন বড়ুয়া।ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) স সকালে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।
ডা . তরুন তপন বড়ুয়া পেশাগত জীবনে একজন চিকিৎসক।তাঁর গ্রামের বাড়ি বােয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে ।তাঁর পিতা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অচিন্ত্য কুমার বড়ুয়া।
তিনি চট্টগ্রামের কাফকো'র চীফ মেডিকেল অফিসার বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ডক্টরস এসােসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী , দুই কন্যা , এক পুত্রসন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয় - স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান । মৃত্যুর পুর্বে তাঁর দেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গবেষণাগারে দান করে গেছেন । প্রয়াতের অনিত্যসভা বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত হবে । অনিত্যসভা শেষে তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হবে ।
রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১
শ্রদ্ধেয় জ্যোতিমিত্র ভিক্ষু আর নেই
বেতাগী গ্রামের জন্মজাত সন্তান,বেতাগী সার্বজনীন ধর্মানন্দ বিহারের প্রাক্তন সভাপতি,বীর মুক্তিযোদ্ধা, বেতাগী গ্রামের প্রবীন ভিক্ষু,
বেতাগী বনাশ্রম ভাবনা কুঠিরের
নবরুপকার, পরম শ্রদ্ধেয় জ্যোতিমিত্র ভিক্ষু আজ দুপুর. ১ ঘটিকায় পরলোক গমন করেছেন
আগামী কাল সোমবার ২ ঘটিকায় সময় বেতাগী সার্বজনীন ধর্মানন্দ বিহার পারলৌকিক সদাগতি কামনায় অন্তেষ্টিক্রিয়া সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রদ্ধেয় ভান্তের প্রয়াণে বুড্ডিস্টবিডি২৪ এর পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
