swadesh-sangbad লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
swadesh-sangbad লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

মহামান্য সংঘরাজের পেটিকাবদ্ধ এবং ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ সম্পন্ন

মহামান্য সংঘরাজের পেটিকাবদ্ধ এবং ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ সম্পন্ন

 

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তী সংঘ মনীষা, একুশে পদক প্রাপ্ত, অগ্গমহাপণ্ডিত, শাসন শোভন, মহামান্য সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির মহোদয়ের ১০১ তম জন্ম দিন, তাঁর পবিত্র মরদেহের পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান এবং বিনাজুরী শ্মশান বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধ রত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ অনুষ্ঠান গতকাল পশ্চিম বিনাজুরী শ্মশান বিহার সংলগ্ন বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সারাদিন ব্যাপী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সুসম্পন্ন হয়।সারাদিন ব্যাপি এই মহা ধর্মসম্মেলনে শত শত বহু প্রজ্ঞা পন্ডিত প্রবর ভিক্ষুসংঘ ও ধর্মপ্রাণ উপাসক উপাসিকা, অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠান মালায় সকালবেলা প্রয়াত ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের স্মরনে সংঘদান,ধর্মালোচনা বিনাজুরী শ্মশান বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্থবির এর মহাস্থবির বরণ সম্পন্ন হয় ।সকালবেলার আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-সংঘরাজ ও প্রিয়শিষ্য প্রিয়দর্শী মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মসেন মহাস্থবির। মুখ্য আলোচক ছিলেন ড. ধর্মকীর্তি মহাস্থবির, ভদন্ত শাসনানন্দ মহাস্থবির।বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি অংচিং মারমা।

দিনব্যাপী দুই পর্বের বিকেল বেলার অনুষ্ঠানে উপ-সংঘরাজ শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির । প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন ঢাকা মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাস্থবির।উপ-সংঘরাজ ভদন্ত ধর্মদর্শী মহাস্থবির, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি ভদন্ত প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, জিনালংকার মহাস্থবির,শীলভদ্র মহাস্থবির, বিনয়পাল মহাস্থবির, জিনানন্দ মহাস্থবির, বোধিপাল মহাস্থবির,

প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির,বিদর্শচার্য প্রজ্ঞাইন্দ্রিয় স্থবির, প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাউজানের সাবেক এমপি ও বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।আরো উপস্থিত ছিলো

সাথী উদয় কুসুম বড়য়া,বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভবেশ চাকমা, ড. সুকোমল বড়ুয়া,অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ফিরোজ আহমদ, সাবের সুলতান কাজল, ছোট আজম, প্রমুখ।

পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান এবং ভদন্ত বুদ্ধ রত্ন স্হবির'র মহাস্হবির বরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সদ্ধর্মজ্যোতি তিলোকাবংশ মহাস্থবির, প্রান্ত বড়ুয়া,ভদন্ত জিনবংশ মহাস্থবির ও ব্যাংকার সৈকত বড়ুযা।

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

বান্দরবানের খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী অজয় বড়ুয়া নিহত

বান্দরবানের খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী অজয় বড়ুয়া নিহত

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের আলীকদম-থানচি সড়কের ১৬ কিলোমিটার দামতোয়ার নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত অজয় বড়ুয়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার চিপু বড়ুয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অজয় বড়ুয়া মোটরসাইকেল নিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাচ্ছিলেন। দামতোয়ার এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. হাসান বলেন, “মোটরসাইকেল চালিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের গভীর খাদে পড়ে অজয় বড়ুয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মৃত্যুর পর তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই।

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই।

শতবর্ষী সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিংবদন্তি বৌদ্ধ মনীষা, সমাজ সংস্কারক, বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ছিলেন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বৌদ্ধ সমাজে।

রাউজান উপজেলার পুণ্যভূমি উত্তর গুজরা (ডোমখালী) গ্রামে ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর বাবা প্রেম লাল বডুয়া ও মা মেনেকা রাণী বড়ুয়ার ঘর আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন লোকনাথ বড়ুয়া। সেদিনের লোকনাথ কিশোর বয়সে মাকে হারিয়ে তাঁর মামা পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের কীর্তিমান সংঘ মনীষা ভদন্ত সারানন্দ মহাস্থবিরের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৪৪ সালে গৌরবদীপ্ত সংঘিক ব্যক্তিত্ব, উপ সংঘরাজ ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের কাছে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা নেন। পাঁচ বছর পর শ্রামণ্য ধর্মের ইতি টেনে ১৯৪৯ সালে গুরু ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের উপাধ্যায়ত্বে দুর্লভ উপসম্পদা লাভ করেন। উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামের সেদিনের সেই লোকনাথ আজ বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তি সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর আছে ৮০ বছরের প্রব্রজিত জীবন যেন এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সুদীর্ঘকাল বৌদ্ধ সমাজ গগনকে তিনি তাঁর মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, শ্রম, আত্মত্যাগ, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-

১. মুবাইছড়ি জ্ঞানোদয় পালি টোল, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।

২. ধর্মোদয় পালি টোল ও দশবল রাজ বিহার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।

৩. ত্রিপিটক প্রচার বোর্ড গঠন (মহামান্য ৮ম সংঘরাজ ভদন্ত শীলালংকার মহাথেরো মহোদয়ের যৌথ প্রয়াসে)

৪. মনোঘর অনাথ আশ্রম, ভেদভেদি, রাঙামাটি।

৫. চন্দ্রঘোনা জ্ঞানশ্রী শিশু সদন, বড়ইছড়ি, কাপ্তাই।

৬. কদলপুর অনাথ আশ্রম ও ভিক্ষু ট্রেনিং সেন্টার, রাউজান, চট্টগ্র্রাম।

৭. সংঘরাজ ভিক্ষু মহামণ্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ।

৮. ত্রৈমাসিক ধর্মায়তন পত্রিকা (সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের মুখপত্র)।

৯. জোবরা গুণালংকার বৌদ্ধ অনাথালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

১০. পশ্চিম বিনাজুরী ধর্মকথিক অনাথ আশ্রম, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।

১১. পশ্চিম বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।

১২. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বুদ্ধ বিহার, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৩. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৪. গুইমারা দেওয়ান পাড়া অনাথ আশ্রম, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৫. উচাই সূর্যাপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৬. উচাই উপ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী নৃ-তাত্ত্বিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৭. নূরপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৮. বারকান্দি সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৯. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, পশ্চিম বিনাজুরী, রাউজান।

২০. বাংলাদেশ বুদ্ধ শাসন কল্যাণ ট্রাস্ট ।

২১. বান্দরবান উজিপাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার।

২২. নানিয়ারছড় দ্বিচান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী সাধনা বৌদ্ধ বিহার।

২৩. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী বৃদ্ধাশ্রম, পশ্চিম বিনাজুরী।

২৪. জ্ঞানশ্রী প্রভাতি পালিটোল, উত্তর গুজরা, ডোমখালী, রাউজান।

ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির অনেক সম্মাননা লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

১৯৮১ সালে থাইল্যান্ড থেকে শাসনশোভন জ্ঞানভানক উপাধি লাভ। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'বিনয়াচার্য' উপাধি লাভ। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'উপ সংঘরাজ স্বীকৃতি লাভ। ২০০৬ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক মহাসম্মজ্যোতিকাধ্বজ উপাধি লাভ। ২০০৭ সালে থাইল্যান্ডের মহাচুল্লালংকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ। ২০০৮ সালে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ থেকে স্বর্ণপদক ও উপাধি লাভ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক পুণ্যাচার-উ, গুণমেজু স্বর্ণপদক লাভ। WFBY থাইল্যান্ড কর্তৃক আউট স্ট্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড লাভ ২০১৪ সাল। ২০২০ সালের ২০ মে সংঘরাজ ভিক্ষু সহাসভার সর্বোচ্চ সম্মাননা মহামান্য ‘সংঘরাজ’ নির্বাচিত হন।

২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন। ২০২৩ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক ‘অগ্রমহাণ্ডিত’ উপাধি লাভ। ২০২৪ সালে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশি বুড্ডিস্ট কর্তৃক সম্মাননা ও সংবর্ধনা লাভ করেন। 

সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর একান্ত চিকিৎসক ও বৌদ্ধ গবেষক প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, আমাদের কিংবদন্তী বৌদ্ধ মনীষা ও সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু প্রয়াত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো ভান্তের মরদেহ রাউজানের বিনাজুরী শ্মশান বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে আজ রাতে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভেষজ প্রক্রিয়ায় লাশ সংরক্ষণ করে রাখা হবে।

শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

রাঙামাটিতে হাসপাতাল থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাঙামাটিতে হাসপাতাল থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার (৩৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, সাথী বড়ুয়া (৩৭) রাঙামাটি জেলা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দেবাশীষ নগর এলাকার সুমন বড়ুয়ার স্ত্রী। সাথী বড়ুয়ার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার রাতের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতেও ডিউটিতে ছিলেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতের ডিউটি শেষে শুক্রবার সকালেও সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করেন সাথী বড়ুয়া। সেখানে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা বলেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে (পোশাক পরিবর্তন কক্ষ) যান সাথী বড়ুয়া। কিছুক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় সহকর্মীরা গিয়ে তাকে জানালার সঙ্গে দড়িতে ঝুলতে দেখেন।

এ ঘটনার পর দুপুরে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও সাথীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা উঠেছে। এটি নিছক আত্মহত্যা নাকি ভিন্ন কিছু? সেটি জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে; এমনটাই জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামাল জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছি। সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধারের সময় জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।রাঙামাটির সিভিল সার্জন ড. নূয়েন খীসা বলেন, সাথী বড়ুয়া গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেও নাইট ডিউটি করেছেন।শুক্রবার সকালে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে শরীর খারাপ লাগছে এসব কথা বলেছেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পর এমন ঘটনা ঘটলো। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে; ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কিছু ক্লু থাকতে পারে। তখন আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে।


শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়ায় গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি

বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়ায় গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি


চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়াপাড়ায় বসতঘরের গ্রিল কেটে নগদ ৪ লাখ টাকাসহ স্বর্ণের ৪ ভরি ওজনের গয়না এবং মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে।

বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা খোকন বড়ুয়ার বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার ১৭ অক্টোবর দুপুরের সময় ঘর তালাবদ্ধ করে স্ব-পরিবারে পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্রীপুর-আমুচিয়া বোধিসত্ত্ব বিহারের কঠিন চীবরদানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলো। রাতে বাড়ি ফিরে দেখে দরজার তালা ভাঙা। চোরের দল ৩টি আলমিরা ভেঙে নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণের গয়না ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। চোরেরা বসত ঘরের বারান্দার গ্রিল কেটে বসত ঘরে ঢুকেছে।

এ ঘটনায় খোকন বড়ুয়া বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফ্রান্সে অশোক বড়ুয়ার করুণ মৃত্যু

ফ্রান্সে অশোক বড়ুয়ার করুণ মৃত্যু

 


ফ্রান্স প্রবাসী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার অন্তর্গত শৈলেরডেবা গ্রাম নিবাসী অশোক বড়ুয়া হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আনুমানিক বিগত ৭ই অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে ৪৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যুটা অন্য আট দশটা মৃত্যুর মতো স্বাভাবিক মৃত্য নয় । তিনি লাকর্ণবে রাস্তার পাশে ঝুপরি ঘর বানিয়ে বসবাস করতেন, এটা প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জ্বাজনক বিষয়।অবহেলা জনিত কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করেন তার স্বজনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তারা বলেন নীজ এলাকার মানুষদের খোজ খবর নেয়া তাদের বিপদে পাশে থাকা এটা সামাজিক দায়িত্ব আমরা কিছুতেই এই দায়িত্ব অবহেলা করতে পারি না।

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

 জ্যৈষ্ঠপুরায় শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর পুড়ানোর ঘটনায় এক যুবককে আটক

জ্যৈষ্ঠপুরায় শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর পুড়ানোর ঘটনায় এক যুবককে আটক

 


বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা কেন্দ্রীয় বৈশালী বিহারের শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর (কাপড়) পুড়ানোর ঘটনায় মো: রহিম (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃত মো: রহিম উপজেলার খরনদ্বীপ এলাকার সন্দীপাড়ার রবিউল হকের ছেলে

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয় সেন বড়ুয়া বলেন, ভোর ৫ টার দিকে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিহারে গিয়ে দেখি বোধিবৃক্ষের কাপড় ও বুদ্ধমূর্তির চীবর খুলে আলাদা করে পুড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে গেয়েছি। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হোক সেটা আমি চাই এবং মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধের সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা যেন বসবাস করতে পারি।

বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো: রাসেল জানান,মো: রহিম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মো: রহিম তার অপরাধের কথা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে সে তার এই অপকর্মের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ স্বীকার করেনি।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত ও পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য আসামীকে বোয়ালখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

আজ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

আজ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা



আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’। এটি ‘আশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন এই প্রবারণা।

‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ:‘প্র’ মানে ‘উত্তমভাবে’ এবং ‘বরণা’ মানে ‘বরণ করা’ বা ‘স্বীকার করা’। অর্থাৎ ‘প্রবারণা’ মানে হলো নিজের ভুল বা ত্রুটি স্বীকার করে তা সংশোধনের জন্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণ।

ধর্মীয় তাৎপর্য:এই দিনে ভিক্ষুরা একে অপরের কাছে নিজেদের ত্রুটি বা ভুলের কথা স্বীকার করেন এবং পরস্পরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এটি আত্মশুদ্ধি, বিনয় ও সাম্যবোধের প্রতীক।প্রবারণা পূর্ণিমা মানুষকে আত্মসংযম, সহনশীলতা, সত্যবাদিতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শেখায়। এটি আত্মসমালোচনা ও পরিশুদ্ধ জীবনের আহ্বান জানায়।

প্রবারণার পূর্ণিমার দিন আকাশ প্রদীপ প্রজ্বালন ( ফানুস বাতি ওড়ানো) হয়ে থাকে। কথিত আছে, সিদ্ধার্থ গৌতম গৃহত্যাগ করে অনোমা নদীর পরপারে উপনীত হয়ে সারথী ছন্নকে অশ্ব কন্থক ও শরীরের আভরণাদি প্রদান করে বিদায় দেন। অতঃপর তিনি ভাবলেন, ‘আমার মস্তকে সুবিন্যস্ত কেশকলাপ প্রব্রজিতের পক্ষে শোভনীয় নহে।’ তিনি দক্ষিণ হস্তে অসি এবং বাম হস্তে রাজমুকুটসহ কেশকলাপ ধারণ করে কেটে ঊর্ধ্বদিকে নিক্ষেপ করে সত্যক্রিয়া করেছিলেন, ‘যদি সত্যিই আমি ইহজন্মে মহাজ্ঞান (বুদ্ধত্ব) লাভে সমর্থ হই তাহলে এই মুকুটসহ কেশরাশি ঊর্ধ্বাকাশে উত্থিত হবে।’ তাঁর কেশরাশি আকাশে উত্থিত হলো। তাবতিংশ স্বর্গের দেবগণ কেশরাশি নিয়ে গিয়ে চুলমনি চৈত্য প্রতিষ্ঠা করে পূজা করতে লাগলেন। বৌদ্ধরা বুদ্ধের সেই কেশরাশির প্রতি পূজা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য আশ্বিনী পূর্ণিমায় আকাশ প্রদীপ বা ফানুস বাতি আমরা উড়িয়ে থাকি।আকাশ প্রদীপ যেহেতু বুদ্ধের সেই কেশরাশির প্রতি পূজা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য উড়িয়ে থাকি তাই আমাদের উচিত ধর্মীয় নিয়ম নীতির মাধ্যমে আকাশ প্রদীপ উত্তোলন করা।



শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

বোয়ালখালীতে বর্ষাবাস-প্রবারণা-ফানুস উৎসব উদ্বোধন

বোয়ালখালীতে বর্ষাবাস-প্রবারণা-ফানুস উৎসব উদ্বোধন


বোয়ালখালীতে উৎসব মুখর ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বর্ষাবাস-প্রবারণা ও ফানুস উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা উপলক্ষে বোয়ালখালী সম্মিলিত বর্ষাবাস-প্রবারণা ও ফানুস উৎসব উদযাপন পরিবারের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান ৩ অক্টোবর উদযাপন পরিবারের আহবায়ক ও বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু পল্টু কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক জনাব কানিজ ফাতেমা। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন(স্বাধীনতা)য় বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের প্রধান প্রতিষ্ঠা উদ্যোক্তা ও সন্মিলিত বর্ষাবাস-প্রবারণা ফানুস উৎসব উদযাপন পরিবারের প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক অধীর বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় মহান অতিথি ছিলেন- গোমদন্ডী সার্বজনীন জ্ঞানোদয় বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত মুদিতানন্দ থেরো, বৌদ্ধ জ্যোতি আন্তর্জাতিক সংস্থার বাংলাদেশ চাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি রুবেল বড়ুয়া, দানশীল ব্যক্তি সাধক ডালিম বড়ুয়া, বোয়ালখালী উপজেলা দমকল বাহিনীর ষ্টেশন অফিসার অলক চাকমা, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাবেক সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, কধুরখীল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি সমীরন বড়ুয়া টিটু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিহির বরণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ বোয়ালখালীর সভাপতি সুমন বড়ুয়া ভুপেল, বিশিষ্ট সংগঠক ব্যাংকার লিটন কুমার বড়ুয়া। 

এসভায় সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন- কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ উপানন্দ মহাথের( পিএইচডি ডিগ্রী লাভে), শ্রীপুর আদি শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির(স্বধর্ম প্রচার ও প্রসারে), কধুরখীল মারজিন বিহারের অধ্যক্ষ দীপানন্দ থেরো( মানবিক বৌদ্ধ ভিক্ষু), শাকপুরা সার্বজনীন তপোধন বিহারের অধ্যক্ষ এম প্রজ্ঞামিত্র থেরো( মাস্টার্সে কৃতিত্ব),মো: ইসমাইল( নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক- চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি), শিক্ষক মো: ফারুক ইসলাম( গুণি শিক্ষক-বিশ্ব শিক্ষক দিবস'২৫), ডা: ঝুন্টু বড়ুয়া(মানবিক মানুষ- জনপ্রিয় ইত্যাদি অনুষ্ঠান), বাবু অসীম কুমার বড়ুয়া( স্বধর্ম ও সমাজ-সংগঠক,আনোয়ারা), বাবু অদীপ বড়ুয়া( সমাজ ও স্বধর্ম সেবক- চন্দনাইশ), বাবু শ্যামল বিশ্বাস( সভাপতি- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি, বোয়ালখালী), মো: হাসান চৌধুরী(সফল জনপ্রতিনিধি), বাবু বাবুল জলদাশ( জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঢোল বাদক), বাবু চানক্য বড়ুয়া( বুদ্ধ কীর্তন শিল্পী), শিক্ষক বিধূভূষন বড়ুয়া(শিক্ষায়),বাবু দুলাল বড়ুয়া( প্রতিষ্ঠাতা-গোমদন্ডী বড়ুয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), বাবু নীতিপূর্ণ বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু বোধিসত্ব বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্ম),

বাবু দিপংকর বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), শিক্ষক মৃদুল কান্তি বড়ুয়া( সমাজ-সংগঠন),শিক্ষক পিযুষ কান্তি বড়ুয়া(শিক্ষায়), বাবু সুভাস চন্দ্র বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু রাস বিহারী বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্মে),বাবু মৃদুল বড়ুয়া(প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক-বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদ), বাবু প্রাণতোষ বড়ুয়া( সাধারন সম্পাদক- বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বোয়ালখালী শাখা), বাবু প্রণব বড়ুয়া পারিজাত( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু ঝুন্টু বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্ম), 

বাবু স্বদেশ বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠন),

বাবু জেষু বড়ুয়া চৌধুরী( অর্থ সম্পাদক -বোয়ালখালী সন্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদ), বাবু বিকাশ বড়ুয়া, 

) নবনির্বাচিত সভাপতি- বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী), বাবু রূপাল বড়ুয়া(নবনির্বাচিত সভাপতি- বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী), প্রধান শিক্ষক তরুন বড়ুয়া(শিক্ষায়), শিক্ষক উজ্বল মুৎসুদ্দি( শিক্ষায়), বাবু ছোটন বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠনে), বাবু দেবপ্রিয় বড়ুয়া( সমাজ ও সংগঠক),

বাবু কাজল বড়ুয়া( নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক- বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, বোয়ালখালী),

বাবু রূপক বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠন)। 

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল, কীর্তনশিল্পী তাপস বড়ুয়া, কমরেড কাজল বড়ুয়া, এডভোকেট আঁখি বড়ুয়া, শিপিং কর্মকর্তা অমর বড়ুয়া, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রিতম বড়ুয়া, সংগঠক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রনি চৌধুরী, সমাজরানী কুমারীকা বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজু আচার্য, ডাঃ প্রভাস চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি বোয়ালখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক অধীর দে, কণ্ঠশিল্পী প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, সমাজ সংগঠক মাইকেল বড়ুয়া, সমাজ ও সংগঠক বিশ্বদ্বীপ বড়ুয়া, সমাজকর্মী বকুল বড়ুয়া, বাবু সৌরভ বড়ুয়া, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহুল বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামা প্রসাদ দাশ, ডা: সৌরভ বড়ুয়া মামুন প্রমুখ।

এসভা শেষে ফানুস উৎসব উদ্বোধন উপলক্ষে কেক কেটে উপজেলা চত্বরে কয়েকটি ফানুস উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক কানিজ ফাতেমাসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। 

সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলা চত্বরে এ ফানুস উত্তোলন করার সময় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সমাজ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ সম্পন্ন

চট্টগ্রামে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ সম্পন্ন

 


চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ৭১টি বৌদ্ধ ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র সদস্য সচিব মো: নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ জাফর।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক রুবেল বড়ুয়া হৃদয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রীতম বড়ুয়ার ডালিম।


সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উৎযাপন কমিটি ২০২৫ইং

আগামী বছরের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের জন্য নিম্নোক্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে:

সভাপতি: শিক্ষা অফিসার (অবঃ) রিটন কুমার বড়ুয়া

সাধারণ সম্পাদক: রোটারিয়ান অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী

প্রধান সমন্বয়কারী: ট্রাষ্টি রুবেল বড়ুয়া হৃদয়

অর্থ সম্পাদক: সুমন বড়ুয়া বাপ্পী

স্বেচ্ছাসেবক প্রধান: প্রকৌশলী রনি বড়ুয়া চৌধুরী

মহিলা স্বেচ্ছাসেবিকা প্রধান: মিস চৈতী বড়ুয়া

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:

 * সহ সভাপতিবৃন্দ: ড. সৌমেন বড়ুয়া, মি. শুভাশিস বড়ুয়া শিন্টু, রোটারিয়ান শিমুল কান্তি বড়ুয়া।

 * সহ সম্পাদকবৃন্দ: মি. সন্তু বড়ুয়া, সাংবাদিক রাজু চৌধুরী।

 * সমন্বয়কারী: মি. প্রীতম বড়ুয়া ডালিম।

 * সহ সমন্বয়কারীবৃন্দ: মি. তাপস বড়ুয়া, মি. কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মি. দেবাশীষ বড়ুয়া নিরু, মি. সজল বড়ুয়া, মি. সুমন বড়ুয়া, প্রকৌশলী চয়ন বড়ুয়া, মি. জুয়েল বড়ুয়া, মি. সুজন কান্তি বড়ুয়া, মি. শোভন বড়ুয়া।

 * সহ অর্থ সম্পাদক: মি. সৌরভ চৌধুরী।

 * স্বেচ্ছাসেবক উপ-প্রধান: মি. পিয়াল বড়ুয়া রোহান।

 * স্বেচ্ছাসেবক উপ-সহকারী প্রধান বৃন্দ: উদাস বড়ুয়া দোলন, প্রকৌশলী জয়তু বড়ুয়া, অনুপম বড়ুয়া, পিয়াস বড়ুয়া জয়, মি. রুপেশ বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিজয় বড়ুয়া, মি. জুয়েল বড়ুয়া।

 * কার্য নির্বাহী সদস্যবৃন্দ: প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, রোটারিয়ান সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, মি. অনুকর বড়ুয়া, মি. দিবাকর বড়ুয়া জিংকি, মি. পুলক বড়ুয়া, মি. কল্লোল বড়ুয়া, লায়ন ছোটন বড়ুয়া, মি. সুষেণ বড়ুয়া ছোটন, মি. বনরূপ বড়ুয়া অমি, মি. রূপক বড়ুয়া, মি. সুস্ময় বড়ুয়া, মি. জয় বড়ুয়া, মি. উৎসব বড়ুয়া।

স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ (সংগঠন ও টিম প্রধান):

 * ত্রিরত্ন সংঘ - পুলক বড়ুয়া

 * সীবলী সংসদ - উদাস বড়ুয়া দোলন

 * কন্হক বুড্ডিস্ট ইউনিটি - চন্দন বড়ুয়া

 * সম্যক - রুপস বড়ুয়া রাজু

 * বৌদ্ধ ছায়াঙ্গন - শুভ বড়ুয়া

 * বাংলাদেশ কলেজ ইউনিভার্সিটি - জয় বড়ুয়া

 * বাংলাদেশ বৌদ্ধ মানবিক ব্লাড ব্যাংক - সনজয় বড়ুয়া

 * মঙ্গল সংঘ - পার্থ বড়ুয়া

 * ধর্মচক্র - বিজয় বড়ুয়া

 * আর্য সংঘ - রুদ্র বড়ুয়া

 * নন্দন - উৎসব বড়ুয়া

 * স্বপ্ন সিড়ি যুব সংঘ - সুতিম বড়ুয়া

 * আবির্ভাব - পৃথ্বীরাজ বড়ুয়া

 * অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠন - সুজয় বড়ুয়া

 * বুদ্ধজ্যোতি সংঘ - হিমেল বড়ুয়া

 * নবদূত - হিমেল বড়ুয়া

 * সম্বুদ্ধ ঐক্য পরিষদ - রকি বড়ুয়া

 * অলৌকিক সংঘ - শুভ বড়ুয়া শিপন

 * আরণ্যক - পূর্ণ বড়ুয়া

 * বুড্ডিস্ট ইউনিটি - রিন্টু বড়ুয়া

 * মহাবোধি মৈত্রীসংঘ - রবিন চৌধুরী রাজদ্বীপ

 * বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কাউন্সিল

 * প্রজ্ঞাসারথী সংঘ - প্রীতিশ বড়ুয়া

 * সীবলী মানবিক ফাউন্ডেশন - রুপক বড়ুয়া

 * মানব কল্যাণ ধম্মকথা - অন্তু বড়ুয়া

 * অংকুর - অন্তু বড়ুয়া অরুপ

 * ছন্দক - শরন বড়ুয়া

 * সারনাথ - ময়ুখ বড়ুয়া

 * মৈত্রী মানবিক সংগঠন - সোহাগ বড়ুয়া

 * আর্যমিএ বৌদ্ধ সংগঠন - ঈশান বড়ুয়া


সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর

 


কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ফেসবুকে গুজবের জেরে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি মামলা হয়। তবে এখনো সাক্ষীর অভাবে গতিহীন হয়ে পড়েছে ১৮টি মামলার বিচার কাজ। 

জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ঘটনা। পরে রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

রামু, উখিয়া ও টেকনাফে সহিংসতার ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়। এতে এজাহারভুক্ত ৩৭৫ জনসহ ১৫ হাজার ১৮২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে আপোসের ভিত্তিতে একটি মামলা প্রত্যাহার হলেও বাকি ১৮ মামলা সাক্ষীর অভাবে নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। মামলার সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না চাওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

বুদ্ধিস্ট সোশ্যাল মুভমেন্ট এর সংগঠক এডভোকেট সিপ্ত বড়ুয়া জানান, শুধুমাত্র রামু'র বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন সাক্ষ্য দিচ্ছেনা এই অজুহাতে হামলার ঘটনা হওয়া মামলাগুলো স্থবির হয়ে আছে। অথচ, রাষ্ট্র চাইলে সে সময়কার হামলার ঘটনায় ছবি-ভিডিও যাচাই করে সাক্ষ্য হিসেবে মান্য করে বিচার করা যায়। বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে জাতিগত জনগোষ্ঠী নিধনের যে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো করে যাচ্ছে তারা আবারো হামলা করার পরিকল্পনার চাল চালবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের ভিক্ষু প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো বলেন, রামুর ধর্মীয় সম্প্রীতিতে যারা আঘাত হেনেছিল তারা সফল হয়নি। যে ক্ষতের তৈরি হয়েছিলো, ১২ বছরে আমরা সবাই মিলে তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো হামলার একযুগ পার হলেও ওই ঘটনার হামলাকারীদের পরিচয় এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের রামুতে একটি বৌদ্ধ বিহার থেকে এক ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকুল পুরাতন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহত ভিক্ষুর নাম থুই নু মং মারমা, বৌদ্ধ নাম কিমা চারা (২২)। তিনি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দাপুয়া গ্রামের মং শিপ্রু মারমার ছেলে।রামু থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, স্থানীয়রা সকালে বিহারের ভেতরে ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ওই ভিক্ষু আত্মহত্যা করেছেন।মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হবে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকার মহাখালীতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে কক্সবাজারের উষা বড়ুয়া নিহত

ঢাকার মহাখালীতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে কক্সবাজারের উষা বড়ুয়া নিহত

 


রাজধানীর মহাখালীতে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে উষা বড়ুয়া নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকালে ঊষা বড়ুয়া ঢাকা মহাখালীতে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ায় সময় এই ঘটনা হয়।

ঢাকার দুর্ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সকালে উষা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় অসচেতনতার কারণে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।

নিহত উষা বড়ুয়া কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার সংলগ্ন পশ্চিম মেরংলোয়ার রতন বড়ুয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।উষা ঢাকায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বিতে ফিল্ড রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর আগে তিনি সেখানে যোগ দেন। এর আগে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন।

বান্দরবানের ঘুমধুমে সৎ ভাইয়ের ছু’রি’কা’ঘা’তে ছোট ভাই সোহেল বড়ুয়া খু’ন

বান্দরবানের ঘুমধুমে সৎ ভাইয়ের ছু’রি’কা’ঘা’তে ছোট ভাই সোহেল বড়ুয়া খু’ন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নং উত্তর ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুকল বড়ুয়া (২৫)। অভিযুক্ত বড় ভাইয়ের নাম সুপন বড়ুয়া (৩২) বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সুপন বড়ুয়া নিজ বাড়িতে এসে তার মায়ের সঙ্গে মারধরের চেষ্টা করলে ছোট ভাই সুকল বড়ুয়া বাধা দেন। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে এলাকাবাসী মীমাংসার চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সুপন বড়ুয়া ছুরিকাঘাত করে সুকল বড়ুয়াকে গুরুতর আহত করেন। দ্রুত তাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশ পাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফরুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সুপন বড়ুয়াকে আটক করেন।পলিশ জানায়, রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বোয়ালখালীতে সম্মিলিত প্রবারণা ও ফানুস উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত

বোয়ালখালীতে সম্মিলিত প্রবারণা ও ফানুস উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত

 


বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম): আসন্ন শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বোয়ালখালীতে সম্মিলিতভাবে প্রবারণা ও ফানুস উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর, ২০২৫-এ এই উৎসব পালিত হবে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বিকেলে গোমদন্ডি ফুলতলস্থ সালাম মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বোয়ালখালীর বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠন ও বিভিন্ন বিহারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট-বোয়ালখালীর সভাপতি ও বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্টু কান্তি বড়ুয়া। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন-বোয়ালখালী শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিশ্বদীপ বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে আশীর্বাদকের আসনে ছিলেন শ্রীপুর আদি শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ পরমানন্দ মহাথের। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৮নং শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী।

সভায় সম্মিলিতভাবে উৎসব পালনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ বোয়ালখালীর সাধারণ সম্পাদক প্রান্তোষ বড়ুয়া, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, দুকুল বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক যেশু বড়ুয়া চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক দেবপ্রিয় বড়ুয়া দেবু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সত্যজিত বড়ুয়া, দপ্তর সম্পাদক ছোটন বড়ুয়া।

এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট-বোয়ালখালী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিভু, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন-বোয়ালখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপাল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক উজ্জ্বল মুৎসুদ্দি, অর্থ সম্পাদক রুপক বড়ুয়া, কার্যকরী সদস্য সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া, তড়িৎ কান্তি বড়ুয়া, সুজিত বড়ুয়া, বোধিসত্ত্ব বড়ুয়া এবং রনি বড়ুয়া। বিভিন্ন বিহার ও সংগঠনের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নেন।

সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল উৎসব আয়োজনের জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান এই উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় ও সবার জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়ে হেমা চাকমা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী

পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়ে হেমা চাকমা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়ে হেমা চাকমা। ঢাবির ছাত্র-ছাত্রী সংগঠনগুলোর জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে তিনি এই নির্বাচনে লড়েন এবং ৪ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

হেমা চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ২নং চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা ও মিনতি চাকমার মেয়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। 

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠন কর্তৃক উপোসথশীল পালনকারীদের পানীয়দান কর্মসূচি সম্পন্ন

অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠন কর্তৃক উপোসথশীল পালনকারীদের পানীয়দান কর্মসূচি সম্পন্ন


চট্টগ্রাম: শুভ মধু পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে গত ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার, চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ার চট্টেশ্বরী সড়ক সংলগ্ন বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্র বৌদ্ধ বিহারে অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠন একটি বিশেষ কর্মসূচি পালন করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় উপোসথ পালনকারী এবং বিহারে আগত সকল উপাসক-উপাসিকাদের মাঝে পানীয় ও চকলেট বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ভৈষজ্য পূজা, অষ্টপরিস্কার দান এবং পূজনীয় ভান্তেকে দানীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়। এই মহৎ উদ্যোগে বিহারের পূজনীয় ভদন্ত প্রিয়বোধি ভান্তে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি সংগঠনের ধর্মীয়-মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। 

উক্ত পানীয় দান কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় পানীয় দান কমিটি ২০২৫-এর আহ্বায়ক অভিষেক বড়ুয়া, সদস্য সচিব রবিন বড়ুয়া, অর্থ সচিব ফাগুন বড়ুয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ শুভ মধু পূর্ণিমা

আজ শুভ মধু পূর্ণিমা



আজ শুভ মধু পূর্ণিমা। বৌদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসে এটি অন্যতম এক শুভ তিথি।  ভাদ্র মাসে এই পূর্ণিমা  উদযাপন করা হয়। তাই এর অপর নাম ভাদ্র পূর্ণিমা।

তবে বিশ্বে এটি ‘মধু পূর্ণিমা’ নামে পরিচিত। বুদ্ধ জীবনের নানা ঘটনা এবং দান, ত্যাগ ও সেবার নানা মহিমায় দিবসটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে বেশ গুরুত্ব বহন করে।

মধু পূর্ণিমার শুভ এ দিনটি বৌদ্ধরা নানা উৎসব, আনন্দ ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন। নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ এদিন বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘকে মধুদান করার জন্য উৎসবে মেতে ওঠেন। বিহারে দেখা যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মধুদানের এক আনন্দঘন পরিবেশ। বিহারে সন্ধ্যায় বৌদ্ধকীর্তন ও পুঁথিপাঠ করা হয় এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।

আমরা জানি, মহাকারুণিক ভগবান বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর মোট ৪৫ বছর বর্ষাবাসব্রত পালন করেন অরণ্য, পর্বত, গুহা, বিহার ইত্যাদি নানা স্থানে। তার মধ্যে দশম বর্ষাবাস যাপন করেন পারিলেয়্য নামক বনে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিবাদ ও বিনয় সম্পর্কিত নানা অসন্তোষ আচার-আচরণের কারণে তিনি সেই পারিলেয়্য বনে গিয়েছিলেন। কোসাম্ভীর ঘোষিতারামে দু’জন পণ্ডিত ভিক্ষুর মধ্যে ক্ষুদ্র একটি বিনয় বিধান নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা উভয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে সংঘভেদ করেন। স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ তাদের এ মতবিরোধ মেটানোর জন্য শ্রাবস্তী থেকে সেখানে আসেন এবং বিরোধ মিটিয়ে দিয়ে পুন শ্রাবস্তীতে প্রত্যাবর্তন করেন। বুদ্ধ চলে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে আবার বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং একে অপরকে দোষারোপ করেন।

এতে তাদের অনুসারী ভিক্ষুসংঘের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়। বুদ্ধ দেখলেন, তারা নিজেরা নিজেদের আত্মকলহে জড়িয়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করে দেন, যা সংঘ ও সদ্ধর্ম-শাসনের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। বৌদ্ধ পরিভাষায় একেই বলে ‘সংঘভেদ’। তখন বুদ্ধ একাকী বসবাসের পরিকল্পনা করে বালুকারাম বিহারে চলে যান এবং তার শিষ্য ভৃগু স্থবির ও শিষ্যম্ললীকে নিয়ে চারিকাব্রত করেন

। পরে প্রাচীন বংশরক্ষক মৃগদায়ের দুই কুলপুত্রকে মৈত্রী ও মিলন সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে পারিলেয়্য বনে চলে যান এবং সেই বনের একটি ভদ্রশাল রক্ষিত বৃক্ষমূলের বনসন্ডে বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি তিন মাস যাপন করেন, ধ্যান-সমাধি করেন। সে বনে ছিল নানা পশুপাখি ও জীবজন্তুর আবাস। বুদ্ধের অপরিমেয় মৈত্রী ও করুণার প্রভাবে বনের সেসব পশুপাখি ও জীবজন্তু তাদের হিংস্রতা পরিহার করে।

ভাদ্র মাসের এ পূর্ণিমার সঙ্গে বুদ্ধজীবনে বানরের মধুদানের এক বিরল ঘটনা জড়িয়ে আছে। সেদিনের বানরের মধুদান বৌদ্ধ ইতিহাস ও সাহিত্যে একটি নিছক ঘটনা মনে হলেও এ থেকে আমরা সেবা, ত্যাগ ও দানচিত্তের এক মহৎ শিক্ষা পেয়ে থাকি।

বনের একটি বানর হয়ে বুদ্ধকে দান দিয়ে যেখানে তার মহৎ উদারতা ও ত্যাগের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছে, তৃপ্তি পেয়েছে এবং আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে, সেখানে আমরা মানুষ হয়েও আজ বিপন্ন মানুষের প্রতি সেই উদারতা, ত্যাগ ও দানের মহিমা দেখাতে পারছি না।


রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রামে জমজমাট ফুটসাল টুর্নামেন্ট: অলৌকিক সংঘ ও ধর্মদান টিভির উদ্যোগে শুভ উদ্বোধন ৫ই সেপ্টেম্বর

চট্টগ্রামে জমজমাট ফুটসাল টুর্নামেন্ট: অলৌকিক সংঘ ও ধর্মদান টিভির উদ্যোগে শুভ উদ্বোধন ৫ই সেপ্টেম্বর

 


চট্টগ্রামে অলৌকিক সংঘ-চট্টগ্রাম মহানগর ও ধর্মদান টিভির সহযোগিতায় এক জমজমাট ফুটসাল টুর্নামেন্ট সিজন-১ (২০২৫ইং) শুরু হতে যাচ্ছে। মোট ১৬টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।

আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার চান্দগাঁওয়ের সিকো এরিনায় এই টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন হবে।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপেন্দ্র বিজয় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাবু প্রদীপ কুমার বড়ুয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ সীবলী মানবিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাবু বনরূপ বড়ুয়া অমি।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে অলৌকিক সংঘ-চট্টগ্রাম মহানগরের সম্মানিত উপদেষ্টা বাবু রিমন বড়ুয়া এবং সভাপতি হিসেবে অলৌকিক সংঘ-চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি বাবু অনুকর বড়ুয়া উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন অলৌকিক সংঘ-চট্টগ্রাম মহানগরের উর্ধ্বতন সভাপতি বাবু ডেনি বড়ুয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি বাবু নীরব বড়ুয়া, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক বাবু নয়ন বড়ুয়া সুবল এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক বাবু জনি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবু শুভ বড়ুয়া শিপন।

আয়োজকরা এই আকর্ষণীয় ফুটবল টুর্নামেন্টটি উপভোগ করার জন্য সকলকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।


শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫

কন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি'র মানবিক উদ্যোগ পথশিশু এবং দরিদ্র মানুষের জন্য একবেলা আহার

কন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি'র মানবিক উদ্যোগ পথশিশু এবং দরিদ্র মানুষের জন্য একবেলা আহার



চট্টগ্রাম: গত রাতে ২৯ আগষ্ট  'কন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি'র সদস্যরা এক অনন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। রাত ৯:৩০ থেকে ১০:৩০ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত পথশিশু ও দরিদ্র মানুষের কাছে একবেলার খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। এই মহৎ উদ্যোগে কন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি পরিবারে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।

সংগঠনের সিনিয়র সদস্য পুস্প বড়ুয়ার উদ্যোগে এবং কন্থক পরিবারের সকলের সার্বিক সহায়তায় এই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ সময় সদস্যরা পথে যাদের সঙ্গে মিলিত হন, তাদের 'পথের ফুল' বলে সম্বোধন করেন। তাদের নিষ্পাপ হাসি দেখে ইউনিটির সদস্যরা আপ্লুত হন।

এই মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত এক সদস্য জানান, তারা এমন কিছু মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, যারা ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছিলেন। এমন দুঃস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে তারা এক অকল্পনীয় পুণ্য অর্জনের তৃপ্তি অনুভব করেছেন।

কন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি'র সদস্যরা আশা করেন, ভবিষ্যতেও তারা তাদের এই নিঃস্বার্থ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন।