সর্বশেষ
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
মহাবোধি বিহারের নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধদের কাছে হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
১৯৪৯ সালের বোধগয়া মন্দির আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে দায়ের করা একটি আবেদন গতকাল সোমবার ৩০ জুন, ২০২৫ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা এই আবেদনটির শুনানি করেন। বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আবেদনকারীকে পাটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, "আমরা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে এই আবেদনটি গ্রহণ করতে আগ্রহী নই। তবে, আবেদনকারীকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে।"
শুনানির সময়, বিচারপতিরা আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে চাওয়া ত্রাণের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জবাবে আইনজীবী বলেন, "আমি প্রার্থনা করেছি যে বোধগয়া মন্দির আইনকে অতি-ভাইরাস (ক্ষমতার বাইরে) ঘোষণা করে বাতিল করা হোক।"
বেঞ্চ তখন মন্তব্য করে, "কেন আপনি হাইকোর্টে এটি করছেন না? আমরা কীভাবে একটি ম্যান্ডামাস জারি করতে পারি? দয়া করে হাইকোর্টে যান।"
সুলেখা দেবী নলিনী দেবী নারায়ণরাও কুম্ভারে এই আবেদনটি দায়ের করেছিলেন। তিনি আদালতকে কেন্দ্র এবং বিহার সরকারকে ১৯৪৯ সালের আইনটি সংশোধন করতে এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছিলেন। আবেদনকারী যুক্তি দিয়েছিলেন যে বর্তমান শাসন কাঠামো, যেখানে রাজ্যের তত্ত্বাবধানে হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় প্রতিনিধিই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তা বৌদ্ধদের ধর্মীয় অধিকারকে ক্ষুন্ন করে। তিনি তাদের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে সম্পূর্ণ বৌদ্ধ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
১৯৪৯ সালের বোধগয়া মন্দির আইন মহাবোধি মন্দির কমপ্লেক্সের উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রণীত হয়েছিল, যা বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটিতে একটি ৫০ মিটার উঁচু বিশাল মন্দির, বজ্রাসন (ডায়মন্ড সিংহাসন), পবিত্র বোধি বৃক্ষ এবং ভগবান গৌতম বুদ্ধের জ্ঞান লাভের সাথে যুক্ত আরও ছয়টি পবিত্র স্থান রয়েছে। সপ্তম স্থান, পদ্ম পুকুর, মূল ঘেরের বাইরে অবস্থিত।
চলতি বছরের এপ্রিলে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহাও ১৯৪৯ সালের আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি মহাবোধি মহাবিহার মন্দিরের প্রশাসন বৌদ্ধদের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আরও আইনি লড়াইয়ের পথ খোলা রইল, তবে এখন হাইকোর্টের মাধ্যমে উপযুক্ত ফোরামে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে।
শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশন সম্পন্ন
অনুষ্ঠানে আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ বিচিত্র ধর্মকথিক ধর্মপ্রিয় মহাথেরো এবং উপ-সংঘরাজ সদ্ধর্মবারিধি প্রিয়দর্শী মহাথেরো। প্রধান জ্ঞাতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্ধর্মবারিধি প্রিয়ানন্দ মহাথেরো। বিশেষ জ্ঞাতি হিসেবে ছিলেন ধর্মসারথী শাসনানন্দ মহাথেরো।
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল এর সভাপতি ধর্মদূত জিনালংকার মহাথেরো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গুণী, জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ ভিক্ষু সংঘ এবং বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই নবনির্বাচিত কমিটি ধর্মীয় শিক্ষা ও সংঘের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
ধর্মানন্দ মহাথেরোর সাপ্তাহিক সংঘদান ও পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
রাউজান, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার কৃতি সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট মঙ্ক সোসাইটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাউজান উপজেলা শাখার নির্বাহী সদস্য এবং রাউজান কেউটিয়া খামারবাড়ি ধর্মদূত বিহারের সুযোগ্য অধ্যক্ষ ধর্মানন্দ মহাথেরোর পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান আজ সোমবার (২৩ জুন) রাউজানস্থ খামারবাড়ী ধর্মদূত বিহারে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
ধর্মানন্দ মহাথেরোর সাপ্তাহিক অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদান ও পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সদ্ধর্মরত্ন জ্ঞানানন্দ মহাথেরো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো।উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মাননীয় সহ-উপসংঘনায়ক, সদ্ধর্মজ্যোতি, শিক্ষাবিদ সুনন্দ মহাথেরো। প্রধান জ্ঞাতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সহ-সভাপতি অভয়ানন্দ মহাথেরো।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীসদ্ধর্মশাস্ত্রাচার্য অভয়ানন্দ মহাথেরো (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা), মৈত্রীবারিধি পরমানন্দ মহাথেরো (সভাপতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাউজান উপজেলা শাখা), ড. প্রিয়দর্শী মহাথেরো (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা), সদ্ধর্মসারথি সুমনবংশ মহাথেরো (সভাপতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মিলনী) এবং সংঘসুহৃদ ধর্মপ্রিয় মহাথেরো (সভাপতি, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট মঙ্ক সোসাইটি)।
অনুষ্ঠানের প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্মবীর করুণাশ্রী মহাথেরো (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা যুব)।
এ সময়ে পণ্ডিত প্রবর ভিক্ষুসংঘ ও দায়ক সংঘের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থেকে প্রয়াত ধর্মগুরু ধর্মানন্দ মহাথেরোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্যমং মারমা অংসিং
চট্টগ্রাম, ২২ জুন ২০২৪: একসময় ইটভাটায় কঠোর পরিশ্রম করা উক্যমং মারমা অংসিং এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পছন্দের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। অভাব-অনটন আর প্রতিকূলতাকে জয় করে তার এই অর্জন অসংখ্য মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাউখালীর বেতবুনিয়ার পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম অংসিংয়ের। নিজেদের জমি নেই, বাবা দিনমজুর আর মা গৃহিণী। পরিবারের বড় ছেলে অংসিংকে অন্যের বাড়িতে বেড়ে উঠতে হয়েছে। দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন তিনি মাকে হারান, এরপর বাবাকেও যেতে হয় জেলে। দু'মুঠো ভাতের জন্য কখনো ইটভাটায়, কখনো রেস্তোরাঁয় কাজ করেছেন।
২০২১ সালে অভিমান করে নানির বাড়ি থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে ইটভাটায় কাজ নেন অংসিং। দিনে ৪০০ টাকা মজুরিতে তার পড়াশোনার ইতি টানার উপক্রম হয়। তবে প্রতিকূলতা তাকে দমাতে পারেনি। এসএসসি-তে জিপিএ ৫ পেয়ে তিনি প্রমাণ করেন তার মেধা। এরপর মামার সহযোগিতায় চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ভর্তি হলেও, শহরে টিকে থাকার জন্য থালাবাসন মাজার কাজ নেন একটি রেস্তোরাঁয়। মাসে ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করতে গিয়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারতেন খুব কম।
এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষার আগে যক্ষ্মা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৩ মাস শয্যাশায়ী ছিলেন অংসিং। অর্থাভাবে চিকিৎসা না পেয়ে তাকে নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা হয়ে যান। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহায়তায় বিনামূল্যে যক্ষ্মার ওষুধ পেয়ে সুস্থ হওয়ার পর তিনি আবার পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার পড়াশোনা ছেড়ে সংসারের হাল ধরার কথা বলা হলেও, তিনি তার লক্ষ্যে অবিচল থাকেন।
২০২৪ সালে আবার এইচএসসি পরীক্ষা দেন অংসিং। এবার কোচিং বা বই কেনার সামর্থ্য না থাকায় বাড়িতে বসেই তিনি প্রস্তুতি নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফি জোগাড় করতে ঢাকায় এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এরপর ঢাকার উত্তরায় একটি রেস্তোরাঁয় থালাবাসন মাজার কাজ নেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ডিউটি করে, তিনি প্রতিদিন রাত ১টা থেকে ভোর ৪-৫টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁর সিঁড়িতে বসে পড়াশোনা করতেন।
অংসিং বলেন, "কারো কথায় কান না দিয়ে এভাবেই পড়তে লাগলাম। ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ এলাকার সিনিয়রদের খুঁজে বের করতাম। তাঁদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিসংক্রান্ত নানা পরামর্শ নিতাম।" তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'গ' ইউনিটে মেধাতালিকায় ২৫৩তম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটে ৩৭৩তম স্থান অর্জন করেন। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ২০ হাজার টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় জোগাড় হয়েছে।
অংসিং এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার মতো দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন তিনি। তার এই জীবনযুদ্ধ এবং অদম্য প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে সমাজের অনেক তরুণকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শেখাবে।
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপন, সম্প্রীতি সম্মেলন ও বহুমুখী আয়োজন
চট্টগ্রাম, ১৮ জুন ২০২৫: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আগামী ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার পালিত হতে যাচ্ছে বুদ্ধ জয়ন্তী ২৫৬৯। এই উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘মনুষ্যত্ব বিকাশে বুদ্ধবাণী বিষয়ক সম্প্রীতি সম্মেলন’, চিকিৎসা সেবা প্রদান, বৌদ্ধ গীতিনাট্যসহ বিবিধ কর্মধারা।
দিনব্যাপী এই আয়োজনের সূচনা হবে সকাল ৯টা ১ মিনিটে বিশ্বশান্তি কামনায় পদযাত্রার মাধ্যমে। এরপর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পঙ্খী অবমুক্তকরণ ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করবেন এবং সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে। সকাল ১০টায় ‘মনুষ্যত্ব বিকাশে বুদ্ধবাণী বিষয়ক সম্প্রীতি সম্মেলনের’ শুভ উদ্বোধন করা হবে।
সম্মেলনে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সদস্য সচিবের প্রতিবেদন পেশ করা হবে। এরপর প্রধান আলোচকগন তাদের বক্তব্য রাখবেন।
বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বরেণ্য শিক্ষক সম্মাননা প্রদান করা হবে। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে প্রধান অতিথি তাঁর মূল্যবান আলোচনা রাখবেন এবং দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হবে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট থেকে মধ্যাহ্নভোজন ও বৌদ্ধ নাটক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে।
এই বিশেষ আয়োজনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বৌদ্ধ শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সম্প্রীতি ও মনুষ্যত্ব বিকাশে বুদ্ধের আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয়ের পরলোকগমন
রাউজান, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার কৃতী ভিক্ষু ব্যক্তিত্ব এবং রাউজান খামার বাড়ি ধর্মদূত বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয় আজ সকালে পরলোকগমন করেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সদ্ধর্মপ্রাণ উপাসক-উপাসিকা এবং ভিক্ষু সংঘের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, আজ সকালে আহার গ্রহণের পর ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের অসুস্থতা অনুভব করেন। বিহারের দায়ক-দায়িকাগণ দ্রুত তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি করানোর পর তার রক্তবমি হতে থাকে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের মহোদয়ের প্রয়াণ বৌদ্ধ সমাজে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার অবদান এবং স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন সকলে।