সর্বশেষ

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

মহামান্য সংঘরাজের পেটিকাবদ্ধ এবং ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ সম্পন্ন

মহামান্য সংঘরাজের পেটিকাবদ্ধ এবং ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ সম্পন্ন

 

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তী সংঘ মনীষা, একুশে পদক প্রাপ্ত, অগ্গমহাপণ্ডিত, শাসন শোভন, মহামান্য সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির মহোদয়ের ১০১ তম জন্ম দিন, তাঁর পবিত্র মরদেহের পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান এবং বিনাজুরী শ্মশান বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধ রত্ন স্হবিরের মহাস্হবির বরণ অনুষ্ঠান গতকাল পশ্চিম বিনাজুরী শ্মশান বিহার সংলগ্ন বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সারাদিন ব্যাপী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সুসম্পন্ন হয়।সারাদিন ব্যাপি এই মহা ধর্মসম্মেলনে শত শত বহু প্রজ্ঞা পন্ডিত প্রবর ভিক্ষুসংঘ ও ধর্মপ্রাণ উপাসক উপাসিকা, অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠান মালায় সকালবেলা প্রয়াত ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের স্মরনে সংঘদান,ধর্মালোচনা বিনাজুরী শ্মশান বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধরত্ন স্থবির এর মহাস্থবির বরণ সম্পন্ন হয় ।সকালবেলার আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-সংঘরাজ ও প্রিয়শিষ্য প্রিয়দর্শী মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মসেন মহাস্থবির। মুখ্য আলোচক ছিলেন ড. ধর্মকীর্তি মহাস্থবির, ভদন্ত শাসনানন্দ মহাস্থবির।বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি অংচিং মারমা।

দিনব্যাপী দুই পর্বের বিকেল বেলার অনুষ্ঠানে উপ-সংঘরাজ শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির । প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন ঢাকা মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাস্থবির।উপ-সংঘরাজ ভদন্ত ধর্মদর্শী মহাস্থবির, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি ভদন্ত প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, জিনালংকার মহাস্থবির,শীলভদ্র মহাস্থবির, বিনয়পাল মহাস্থবির, জিনানন্দ মহাস্থবির, বোধিপাল মহাস্থবির,

প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির,বিদর্শচার্য প্রজ্ঞাইন্দ্রিয় স্থবির, প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাউজানের সাবেক এমপি ও বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।আরো উপস্থিত ছিলো

সাথী উদয় কুসুম বড়য়া,বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভবেশ চাকমা, ড. সুকোমল বড়ুয়া,অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ফিরোজ আহমদ, সাবের সুলতান কাজল, ছোট আজম, প্রমুখ।

পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান এবং ভদন্ত বুদ্ধ রত্ন স্হবির'র মহাস্হবির বরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সদ্ধর্মজ্যোতি তিলোকাবংশ মহাস্থবির, প্রান্ত বড়ুয়া,ভদন্ত জিনবংশ মহাস্থবির ও ব্যাংকার সৈকত বড়ুযা।

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

বান্দরবানের খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী অজয় বড়ুয়া নিহত

বান্দরবানের খাদে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী অজয় বড়ুয়া নিহত

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের আলীকদম-থানচি সড়কের ১৬ কিলোমিটার দামতোয়ার নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত অজয় বড়ুয়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার চিপু বড়ুয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অজয় বড়ুয়া মোটরসাইকেল নিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাচ্ছিলেন। দামতোয়ার এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. হাসান বলেন, “মোটরসাইকেল চালিয়ে আলীকদম থেকে থানচি যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের গভীর খাদে পড়ে অজয় বড়ুয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। মৃত্যুর পর তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই।

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, মহামান্য ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই।

শতবর্ষী সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিংবদন্তি বৌদ্ধ মনীষা, সমাজ সংস্কারক, বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ছিলেন ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বৌদ্ধ সমাজে।

রাউজান উপজেলার পুণ্যভূমি উত্তর গুজরা (ডোমখালী) গ্রামে ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর বাবা প্রেম লাল বডুয়া ও মা মেনেকা রাণী বড়ুয়ার ঘর আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন লোকনাথ বড়ুয়া। সেদিনের লোকনাথ কিশোর বয়সে মাকে হারিয়ে তাঁর মামা পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের কীর্তিমান সংঘ মনীষা ভদন্ত সারানন্দ মহাস্থবিরের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৪৪ সালে গৌরবদীপ্ত সংঘিক ব্যক্তিত্ব, উপ সংঘরাজ ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের কাছে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা নেন। পাঁচ বছর পর শ্রামণ্য ধর্মের ইতি টেনে ১৯৪৯ সালে গুরু ভদন্ত গুণালঙ্কার মহাস্থবিরের উপাধ্যায়ত্বে দুর্লভ উপসম্পদা লাভ করেন। উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামের সেদিনের সেই লোকনাথ আজ বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তি সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। তাঁর আছে ৮০ বছরের প্রব্রজিত জীবন যেন এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সুদীর্ঘকাল বৌদ্ধ সমাজ গগনকে তিনি তাঁর মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, শ্রম, আত্মত্যাগ, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-

১. মুবাইছড়ি জ্ঞানোদয় পালি টোল, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।

২. ধর্মোদয় পালি টোল ও দশবল রাজ বিহার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।

৩. ত্রিপিটক প্রচার বোর্ড গঠন (মহামান্য ৮ম সংঘরাজ ভদন্ত শীলালংকার মহাথেরো মহোদয়ের যৌথ প্রয়াসে)

৪. মনোঘর অনাথ আশ্রম, ভেদভেদি, রাঙামাটি।

৫. চন্দ্রঘোনা জ্ঞানশ্রী শিশু সদন, বড়ইছড়ি, কাপ্তাই।

৬. কদলপুর অনাথ আশ্রম ও ভিক্ষু ট্রেনিং সেন্টার, রাউজান, চট্টগ্র্রাম।

৭. সংঘরাজ ভিক্ষু মহামণ্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ।

৮. ত্রৈমাসিক ধর্মায়তন পত্রিকা (সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের মুখপত্র)।

৯. জোবরা গুণালংকার বৌদ্ধ অনাথালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

১০. পশ্চিম বিনাজুরী ধর্মকথিক অনাথ আশ্রম, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।

১১. পশ্চিম বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।

১২. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বুদ্ধ বিহার, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৩. গুইমারা দেওয়ান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৪. গুইমারা দেওয়ান পাড়া অনাথ আশ্রম, মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি।

১৫. উচাই সূর্যাপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৬. উচাই উপ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী নৃ-তাত্ত্বিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৭. নূরপুর জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৮. বারকান্দি সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

১৯. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, পশ্চিম বিনাজুরী, রাউজান।

২০. বাংলাদেশ বুদ্ধ শাসন কল্যাণ ট্রাস্ট ।

২১. বান্দরবান উজিপাড়া ড. জ্ঞানশ্রী বৌদ্ধ বিহার।

২২. নানিয়ারছড় দ্বিচান পাড়া ড. জ্ঞানশ্রী সাধনা বৌদ্ধ বিহার।

২৩. সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী বৃদ্ধাশ্রম, পশ্চিম বিনাজুরী।

২৪. জ্ঞানশ্রী প্রভাতি পালিটোল, উত্তর গুজরা, ডোমখালী, রাউজান।

ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির অনেক সম্মাননা লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

১৯৮১ সালে থাইল্যান্ড থেকে শাসনশোভন জ্ঞানভানক উপাধি লাভ। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'বিনয়াচার্য' উপাধি লাভ। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা কর্তৃক 'উপ সংঘরাজ স্বীকৃতি লাভ। ২০০৬ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক মহাসম্মজ্যোতিকাধ্বজ উপাধি লাভ। ২০০৭ সালে থাইল্যান্ডের মহাচুল্লালংকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ। ২০০৮ সালে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ থেকে স্বর্ণপদক ও উপাধি লাভ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক পুণ্যাচার-উ, গুণমেজু স্বর্ণপদক লাভ। WFBY থাইল্যান্ড কর্তৃক আউট স্ট্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড লাভ ২০১৪ সাল। ২০২০ সালের ২০ মে সংঘরাজ ভিক্ষু সহাসভার সর্বোচ্চ সম্মাননা মহামান্য ‘সংঘরাজ’ নির্বাচিত হন।

২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন। ২০২৩ সালে বার্মা সরকার কর্তৃক ‘অগ্রমহাণ্ডিত’ উপাধি লাভ। ২০২৪ সালে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশি বুড্ডিস্ট কর্তৃক সম্মাননা ও সংবর্ধনা লাভ করেন। 

সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর একান্ত চিকিৎসক ও বৌদ্ধ গবেষক প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, আমাদের কিংবদন্তী বৌদ্ধ মনীষা ও সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু প্রয়াত সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো ভান্তের মরদেহ রাউজানের বিনাজুরী শ্মশান বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে আজ রাতে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভেষজ প্রক্রিয়ায় লাশ সংরক্ষণ করে রাখা হবে।

শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

রাঙামাটিতে হাসপাতাল থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাঙামাটিতে হাসপাতাল থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাথী বড়ুয়ার (৩৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, সাথী বড়ুয়া (৩৭) রাঙামাটি জেলা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দেবাশীষ নগর এলাকার সুমন বড়ুয়ার স্ত্রী। সাথী বড়ুয়ার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার রাতের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতেও ডিউটিতে ছিলেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতের ডিউটি শেষে শুক্রবার সকালেও সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করেন সাথী বড়ুয়া। সেখানে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা বলেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে (পোশাক পরিবর্তন কক্ষ) যান সাথী বড়ুয়া। কিছুক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় সহকর্মীরা গিয়ে তাকে জানালার সঙ্গে দড়িতে ঝুলতে দেখেন।

এ ঘটনার পর দুপুরে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও সাথীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা উঠেছে। এটি নিছক আত্মহত্যা নাকি ভিন্ন কিছু? সেটি জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে; এমনটাই জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামাল জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছি। সাথী বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধারের সময় জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।রাঙামাটির সিভিল সার্জন ড. নূয়েন খীসা বলেন, সাথী বড়ুয়া গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেও নাইট ডিউটি করেছেন।শুক্রবার সকালে সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে শরীর খারাপ লাগছে এসব কথা বলেছেন। এরপর নার্সেস চেঞ্জিং রুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পর এমন ঘটনা ঘটলো। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে; ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কিছু ক্লু থাকতে পারে। তখন আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে।


শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়ায় গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি

বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়ায় গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি


চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়াপাড়ায় বসতঘরের গ্রিল কেটে নগদ ৪ লাখ টাকাসহ স্বর্ণের ৪ ভরি ওজনের গয়না এবং মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে।

বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের জ্যৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা খোকন বড়ুয়ার বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার ১৭ অক্টোবর দুপুরের সময় ঘর তালাবদ্ধ করে স্ব-পরিবারে পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্রীপুর-আমুচিয়া বোধিসত্ত্ব বিহারের কঠিন চীবরদানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলো। রাতে বাড়ি ফিরে দেখে দরজার তালা ভাঙা। চোরের দল ৩টি আলমিরা ভেঙে নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণের গয়না ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। চোরেরা বসত ঘরের বারান্দার গ্রিল কেটে বসত ঘরে ঢুকেছে।

এ ঘটনায় খোকন বড়ুয়া বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফ্রান্সে অশোক বড়ুয়ার করুণ মৃত্যু

ফ্রান্সে অশোক বড়ুয়ার করুণ মৃত্যু

 


ফ্রান্স প্রবাসী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার অন্তর্গত শৈলেরডেবা গ্রাম নিবাসী অশোক বড়ুয়া হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আনুমানিক বিগত ৭ই অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে ৪৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যুটা অন্য আট দশটা মৃত্যুর মতো স্বাভাবিক মৃত্য নয় । তিনি লাকর্ণবে রাস্তার পাশে ঝুপরি ঘর বানিয়ে বসবাস করতেন, এটা প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জ্বাজনক বিষয়।অবহেলা জনিত কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করেন তার স্বজনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তারা বলেন নীজ এলাকার মানুষদের খোজ খবর নেয়া তাদের বিপদে পাশে থাকা এটা সামাজিক দায়িত্ব আমরা কিছুতেই এই দায়িত্ব অবহেলা করতে পারি না।

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

 জ্যৈষ্ঠপুরায় শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর পুড়ানোর ঘটনায় এক যুবককে আটক

জ্যৈষ্ঠপুরায় শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর পুড়ানোর ঘটনায় এক যুবককে আটক

 


বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা কেন্দ্রীয় বৈশালী বিহারের শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর (কাপড়) পুড়ানোর ঘটনায় মো: রহিম (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃত মো: রহিম উপজেলার খরনদ্বীপ এলাকার সন্দীপাড়ার রবিউল হকের ছেলে

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয় সেন বড়ুয়া বলেন, ভোর ৫ টার দিকে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিহারে গিয়ে দেখি বোধিবৃক্ষের কাপড় ও বুদ্ধমূর্তির চীবর খুলে আলাদা করে পুড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে গেয়েছি। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হোক সেটা আমি চাই এবং মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধের সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা যেন বসবাস করতে পারি।

বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো: রাসেল জানান,মো: রহিম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মো: রহিম তার অপরাধের কথা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে সে তার এই অপকর্মের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ স্বীকার করেনি।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত ও পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য আসামীকে বোয়ালখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।