রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন  পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

 


বৌদ্ধদের অন্যতম জাতীয় ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা সুষ্ঠ ও সুন্দর, নিরাপদে, নিবিঘেœ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বৌদ্ধিক ভাবধারায় প্রতিবছরের ন্যায় উদ্যাপনের লক্ষে গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় নগরীর জামালখানস্থ বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন পরিষদর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় বক্তারা বলেন, আশ্বিনী পূর্ণিমার অপর নাম প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রবারণা শব্দের অর্থ আশার তৃপ্তি, অবিলাস পূরণ, শিক্ষা সমাপ্তি অথবা ধ্যান শিক্ষা সমাপ্তি বুঝায়। প্রবারণার এ পূর্ণ তিথিতে বিশ্বের সমগ্র বৌদ্ধ জাতির আনন্দ উৎসবের দিন বলা যায়। এই পবিত্র দিবসে বৌদ্ধরা আকাশে ফানুস উড়ায়। ঝাঁকঝমক পূর্ণভাবে প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের জন্য বিভিন্ন সাংগঠনিক দিক নিয়ে আলোক পাত করেন। কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক টিংকু বড়ুয়া, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ত্রিদীপ কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব’র সভাপতি পুষ্পেন বড়ুয়া কাজল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া, মহানগর যুবলীগ নেতা স্বরূপ বিকাশ বড়ুয়া বিতান, সনত বড়ুয়া, কাজল প্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজিব বড়ুয়া ডায়মন্ড, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রোমেল বড়ুয়া রাহুল, সংগঠক এপেক্সিয়ান মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, সংগঠক তমাল বড়ুয়া, কনিক বড়ুয়া, অমল কান্তি বড়ুয়া, শুভ বড়ুয়া প্রমুখ। বিভিন্ন বৌদ্ধ যুব ও ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ত্রিরত্ন সংঘ, সম্যক, পলিটেকনিক বৌদ্ধ ছাত্র পরিষদ, নন্দন, মহাকারুনিক, মারমা যুব সমাজ, মঙ্গল সংঘ, আর্য সংঘ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে আহ্বায়ক বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়াকে প্রধান সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়াকে সদস্য সচিব করে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন পরিষদ ২০২২ গঠন করা হয়। সভায় চট্টগ্রামসহ বৌদ্ধ বিহার সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি প্রদান এবং আগামী ৯ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমায় নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দির চত্বর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকায় ঝাঁক-জমক পূর্ণভাবে ফানুস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় জামালখানস্থ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে পরবর্তী সভা আহ্বান করা হয়।

নিউজঃফেইসবুক থেকে সংগ্রহকৃত

শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দান, সেবা ও মানবতার শিক্ষা - মধু পূর্ণিমা

দান, সেবা ও মানবতার শিক্ষা - মধু পূর্ণিমা



আজ শুভ মধু পূর্ণিমা। বৌদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসে এটি অন্যতম এক শুভ তিথি। বিশেষ করে বর্ষাবাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমাতে এটি উদযাপিত হয়। বর্ষাবাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমা তিথি ভাদ্র মাসে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। তাই এর অপর নাম ভাদ্র পূর্ণিমা।

তবে বিশ্বে এটি ‘মধু পূর্ণিমা’ নামে পরিচিত। বুদ্ধ জীবনের নানা ঘটনা এবং দান, ত্যাগ ও সেবার নানা মহিমায় দিবসটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে বেশ গুরুত্ব বহন করে।

মধু পূর্ণিমার শুভ এ দিনটি বৌদ্ধরা নানা উৎসব, আনন্দ ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন। নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ এদিন বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘকে মধুদান করার জন্য উৎসবে মেতে ওঠেন। বিহারে দেখা যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মধুদানের এক আনন্দঘন পরিবেশ। বিহারে সন্ধ্যায় বৌদ্ধকীর্তন ও পুঁথিপাঠ করা হয় এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।

আমরা জানি, মহাকারুণিক ভগবান বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর মোট ৪৫ বছর বর্ষাবাসব্রত পালন করেন অরণ্য, পর্বত, গুহা, বিহার ইত্যাদি নানা স্থানে। তার মধ্যে দশম বর্ষাবাস যাপন করেন পারিলেয়্য নামক বনে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিবাদ ও বিনয় সম্পর্কিত নানা অসন্তোষ আচার-আচরণের কারণে তিনি সেই পারিলেয়্য বনে গিয়েছিলেন। কোসাম্ভীর ঘোষিতারামে দু’জন পণ্ডিত ভিক্ষুর মধ্যে ক্ষুদ্র একটি বিনয় বিধান নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা উভয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে সংঘভেদ করেন। স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ তাদের এ মতবিরোধ মেটানোর জন্য শ্রাবস্তী থেকে সেখানে আসেন এবং বিরোধ মিটিয়ে দিয়ে পুন শ্রাবস্তীতে প্রত্যাবর্তন করেন। বুদ্ধ চলে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে আবার বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং একে অপরকে দোষারোপ করেন।

এতে তাদের অনুসারী ভিক্ষুসংঘের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়। বুদ্ধ দেখলেন, তারা নিজেরা নিজেদের আত্মকলহে জড়িয়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করে দেন, যা সংঘ ও সদ্ধর্ম-শাসনের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। বৌদ্ধ পরিভাষায় একেই বলে ‘সংঘভেদ’। তখন বুদ্ধ একাকী বসবাসের পরিকল্পনা করে বালুকারাম বিহারে চলে যান এবং তার শিষ্য ভৃগু স্থবির ও শিষ্যম্ললীকে নিয়ে চারিকাব্রত করেন

। পরে প্রাচীন বংশরক্ষক মৃগদায়ের দুই কুলপুত্রকে মৈত্রী ও মিলন সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে পারিলেয়্য বনে চলে যান এবং সেই বনের একটি ভদ্রশাল রক্ষিত বৃক্ষমূলের বনসন্ডে বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি তিন মাস যাপন করেন, ধ্যান-সমাধি করেন। সে বনে ছিল নানা পশুপাখি ও জীবজন্তুর আবাস। বুদ্ধের অপরিমেয় মৈত্রী ও করুণার প্রভাবে বনের সেসব পশুপাখি ও জীবজন্তু তাদের হিংস্রতা পরিহার করে।

ভাদ্র মাসের এ পূর্ণিমার সঙ্গে বুদ্ধজীবনে বানরের মধুদানের এক বিরল ঘটনা জড়িয়ে আছে। সেদিনের বানরের মধুদান বৌদ্ধ ইতিহাস ও সাহিত্যে একটি নিছক ঘটনা মনে হলেও এ থেকে আমরা সেবা, ত্যাগ ও দানচিত্তের এক মহৎ শিক্ষা পেয়ে থাকি।

বনের একটি বানর হয়ে বুদ্ধকে দান দিয়ে যেখানে তার মহৎ উদারতা ও ত্যাগের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছে, তৃপ্তি পেয়েছে এবং আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে, সেখানে আমরা মানুষ হয়েও আজ বিপন্ন মানুষের প্রতি সেই উদারতা, ত্যাগ ও দানের মহিমা দেখাতে পারছি না।

আজ বিবেকের কাছে আমাদের প্রশ্ন- মানবতা, সেবা আর ত্যাগে আমাদের চিত্তকে কি আমরা সেভাবে প্রসারিত করতে পারি না? মধু পূর্ণিমা আমাদের সবার জীবনে শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। আমাদের হৃদয় ভরে উঠুক অপার মৈত্রী-করুণায় এবং দান, দয়া, সেবা আর অকৃত্রিম ভালোবাসায়। সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু- জগতের সকল জীব সুখী হোক। ভবতু সব্ব মঙ্গলং- সকলের মঙ্গল লাভ হোক। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হোক। বিশ্বে শান্তি বর্ষিত হোক।

প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া : সাবেক চেয়ারম্যান, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সভাপতি, বিশ্ব বৌদ্ধ ফেডারেশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টার

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দ্রব্যমূল্যের চড়া দামে ফানুস বানাতে বেগ পেতে হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের

দ্রব্যমূল্যের চড়া দামে ফানুস বানাতে বেগ পেতে হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের

 

ছবিটি চট্টগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার থেকে তোলা
নিলা চাকমা:
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পালিত হবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। অনেকে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলে থাকেন। পবিত্র এ দিনটিতে গৌতম বুদ্ধের কেশ ধাতুর প্রতি পূজা ও সম্মান প্রর্দশনের জন্য ফানুস উড়ানো হয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দিরগুলোতে  ফানুস বানানোর ধুম পড়েছে।

গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নন্দনকান বৌদ্ধ বিহারেও ফানুস বানাতে ব্যস্ত দেখা যায় তরুণদের। কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ফানুস বানানোর সব উপদান দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন তারা।

সাধারণত ফানুস বানাতে দরকার কাগজ , গাম, বাঁশ , কাপড়, মোম, বতিসহ নানা উপাদান। এসব উপাদানগুলোর মধ্যে আবার কোনটার দাম বেড়েছে ৫০ টাকা, কোনটার দাম বেড়েছে ২ শ টাকা থেকে ৩ শ টাকা। ফানুস বানানোর সবচেয়ে দরকারী উপাদান হলো কাগজ।

মঙ্গলবার(০৬ সেপ্টেম্বর ) আন্দরকিল্লা বাজার ঘুরে দেখা যায়,  সিংগেল লেয়ারের কাগজের বর্তমান মূল্য ৭০০ টাকা, ডাবল লেয়ারের মূল্য ১২৭০-১৩০০ টাকা। যেটা দুয়েক সপ্তাহ আগে এর মূল্য ছিলো যথাভাবে ৫৫০ টাকা এবং ১১ শ টাকা। এর আগের বছর কাগজটির মূল্য ছিলো ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত। ফেবিকল গামের লিটার প্রতি বেড়েছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। একই সাথে প্রতি প্যাকেট মোম বাতির দাম বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাগজ বিক্রেতা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মালামাল পরিবহনে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে আমাদের। সেই সাথে কারখানায় চাহিদা মাফিক কাগজ উৎপাদন না হওয়ায় এ বছর কাগজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামনে আরও বৃদ্ধি পাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এদিকে দেওয়ানহাটের বাঁশ বিক্রির দোকানেও দাম বাড়ার একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।ফানুস বানানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাঁশ । তবে যেকোনো বাঁশ  দিয়ে বানানো যায় না। ফানুস বানাতে দরকার হয়  মুলি বাঁশ। বড় মুলি বাঁশের বর্তমান মূল্য ১৭০ টাকা, ছোট ৯০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। পরিবহনে বাড়তি টাকা গুনতে হওয়ায় এ বছর বাঁশের দাম বৃদ্ধি বলে জানান বিক্রেতারা।

দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তরুণ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো। অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের সভাপতি প্রত্যয় বড়ুয়া জানান, আমাদের  সংগঠনের দুয়েক জন বাদে সবাই শিক্ষার্থী। সংগঠনের সদস্যদের থেকে কিঞ্চিত চাঁদা তুলে আমরা প্রতি বছর ফানুস উত্তোলনের আয়োজন করি। কিন্ত সব জিনিসের দাম বাড়ায় আমাদের চাঁদার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।  শিক্ষার্থী হওয়ায় অনেকের চাঁদা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দামটা সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি কামনা করছি।

নন্দন সংগঠনের সভাপতি অতনু বড়ুয়া বলেন, এবার কাগজ, গাম, বাঁশ সব উপাদান চড়া মূল্য কিনতে হচ্ছে আমাদের। পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চাঁদা ছাড়া আর অন্য কোন অর্থ নেই। আমাদের সামান্য অর্থে প্রতি বছর শ খানেক ফানুস উত্তোলন হয় সংগঠন থেকে কিন্ত এবার জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় আমরা ৪০টা টার্গেট দিয়েছি। আমাদের এ সামান্য চেষ্টায় বৌদ্ধ সিনিয়র সংগঠনের সহোযোগিতা কামনা করছি।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

প্রতিবেদন - বিপসসী ভিক্ষু

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, স্পেন, থাইল্যান্ড, দুবাই ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় গত ৩০শে আগষ্ট কলম্বো Sri Ganaseeha Viharaya তে বিশেষ কৃতজ্ঞ পূজার আয়োজন করা হয়।

 Sri  Suvarati Maha viddalaya এর সহকারী শিক্ষক Panamure Rahula Thero এর উপস্থাপনায় উক্ত আয়োজনে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘের( Ramañña Maha Nikaya) মহামান্য অনুনায়ক Dr. Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi. 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. 

প্রধান অতিথির(Chief Guest) আসন অলংকৃত করেন-Mr. Md. Reyad Hossain, Counsellor(political) Bangladesh High Commission. 

বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে -Director of Piriven Education Most Venerable Watinapaha Somananada Nahimi, Most Venerable Akuresse Ariyasagara Nahimi প্রাদেশিক সভার সেক্রেটারি Mrs. Dhammikaa Bikramasingha এবং 

Honorable guest হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Mr. Md. Nizamul Islam, Third Secretary, Bangladesh High Commission. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ও শ্রীলঙ্কা ভিক্ষু সংঘের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে নাগেশ্বর চারা রোপনের মধ্যে দিয়ে কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করা হয়। 

উক্ত কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করেন-Most Venerable Soriyawewa Somananda Nahimi , Principle of Sri Lanka Maha Piriven and Sri Ghananaseeha Viharaya, Colombo. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে লিখিত সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন BBSCSL এর সভাপতি বিপসসী ভিক্ষু এবং তা সিংহলি ভাষায় উপস্থাপন করেন শ্রীমৎ অশ্বজিত ভিক্ষু। 

সুচনা বক্তব্যে বিপসসী ভিক্ষু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ হতে বুদ্ধের পবিত্র চুল ধাতু প্রদান, কৃতজ্ঞ পূজার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ভিক্ষুসংঘের যৌথ সামাজিক উন্নয়নের গুরত্ব আলোচনা করেন। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের জন্যে শ্রীলঙ্কার ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরনের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ রিয়াদ হোসাইন বলেন, শ্রীলঙ্কা তার বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা দূর করতে পারে পর্যটন খাতকে উম্মুক্ত করে। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধরা শ্রীলঙ্কায় তীর্থভ্রমণের সুযোগ পেলে তা শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশী বৌদ্ধদের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের শারিরীক গঠন, বর্ণ, সংস্কৃতি এবং একই বুদ্ধের আর্দশ অনুশীলন করে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান আলোচক -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. তিনি আরো বলেন এই কৃতজ্ঞ পূজায় তিনি অনেক আনন্দিত।

শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘও জনগণ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভাসহ সকল সহযোগিতাকারি বাংলাদেশী বৌদ্ধদেরদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ পূজার সভাপতি -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Anunayaka Dr. Most Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi তাঁর বক্তব্যে বলেন- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ব্যক্তি দুর্লভ। তিনি ইতিপূর্বে কখনো এই ধরনের আয়োজন দেখেন নি।বাংলাদেশী বৌদ্ধদের তিনি ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

একই সাথে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশী বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনের জন্যে সুযোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কৃতজ্ঞ পূজা আয়োজনটি Love from Bangladesh শিরোনামে ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে দি বুড্ডিস্ট টিভি। 

উল্লেখ্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে বাংলাদেশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেন,দুবাই, থাইল্যান্ডে অবস্থানকারী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১২০ টি পরিবার, ২ টি বৌদ্ধ বিহার ও পিরিবেনে ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার রুপির খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আরো ২৮ লক্ষ রুপির খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে কৃতজ্ঞ পূজা করা হবে। উক্ত কৃতজ্ঞ পূজায় যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।   

কৃতজ্ঞ পূজা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেছে Bangladesh Buddhist Student Council of Sri lanka এর সদস্যবৃন্দ।



বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রাউজানের দক্ষিণ জয়নগরে  ফাঁসিতে ঝুলে এক যুবকের আত্মহত্যা

রাউজানের দক্ষিণ জয়নগরে ফাঁসিতে ঝুলে এক যুবকের আত্মহত্যা




বৃহস্পতিবার (১-সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রুশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত যুবক সজল বড়ুয়া (২৮) উপজেলার ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জয়নগর বড়ুয়া পাড়া গ্রামের মৃত নিমর্ল বড়ুয়ার পুত্র।

স্থানীয় লোকজন জানান, নিহত সজল বড়ুয়া অনেক বছর প্রবাসে ছিলেন। গত কয়েক বছর আগে দেশে চলে আসার পর আর যাইনি। পরে চট্টগ্রাম শহরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। গত এক বছর ধরে তিনি ঘরে আছেন। সারাদিন মোবাইল, কম্পিউটার ও টেপ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে তিনি গেমসে আসক্ত ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই সজীব বড়ুয়া জানান, তার বড় ভাই সজল বড়ুয়া ইতালি বা ফ্রান্সে যাওয়া জন্য ভারতে ভিসা প্রসেসিং করতে যান। সেখানে তার ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

এছাড়াও সজলের জন্য কিছু টাকা ঋণ গ্রস্ত হন তার পরিবার। তিনি আরও জানান, রাতে একসাথে সবাই মিলে প্রতিদিনের মতো খাওয়ার খেয়ে ছিলো। পরে সজল পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় মেম্বার আলী আকবর জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা পুলিশকে খবর দিলে। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করেন। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাইনি।

তারা ৩ ভাই এক বোনের মধ্যে সেই সবার বড়।

রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন। রিপোর্ট পেলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে

বিঃদ্রঃউক্ত  নিউজটি  রাউজন নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে

বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে জলবায়ুর।চীনে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
পানি কমে কোথাও কোথাও জেগে উঠছে ডুবে থাকা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।



পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। দেখা দিয়েছে খরার। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ-নদীর পানি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি শহর চংকিং-এ ইয়াংজি নদীর অববাহিকায়জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায়প্রায় ৪৫ শতাংশ কম হয়েছে। এতেই নদীটির পানি শুকিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মূর্তি।

ইয়াংজি নদীর চংকিং-শহরের কাছে ভেসে উঠেছে ফয়েলিয়াং নামক দ্বীপ প্রাচীরের সবচেয়ে উঁচুতে থাকা ত্রয়ী বৌদ্ধ মূর্তি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বৌদ্ধ মূর্তিটি ৬০০ বছর আগে মিং এবং কিং রাজবংশের সময় নির্মিত।

এদিকে, নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখাদিয়েছে সাংহাই প্রদেশে। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সাংহাই শহরের নদীর তীরবর্তী বিল্ডিংগুলোতে সোম ও মঙ্গলবার আলো জ্বালানোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ সীমিত করা হয়েছে

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

আমার গাড়ি ভিডিও

আমার গাড়ি ভিডিও

This Video Published By Mr Rana(Ceo Buddhistbd24) Disclaimer: This video is used only for this website. They include extracts of copyright works copied under copyright licences. You may not copy or distribute any part of this material to any other person. Where the material is provided to you in electronic format you may download or print from it for your own use. You may not download or make a further copy for any other purpose. Failure to comply with the terms of this warning may expose you to legal action for copyright infringement or disciplinary action as per Section 107, Copyright Act 1976. ACA