আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বুদ্ধ পূর্ণিমা আর বিহার রাজ্যের গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খান বোধগয়া মন্দিরে অনুষ্ঠানের সময় তথাগত বুদ্ধকে স্মরণ করেননি, বরং অন্যান্য দেব-দেবীর ধ্যান করেছেন, যা বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ উপাসকদের মনে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। উপরোক্ত মতামত প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাব বৌদ্ধ সোসাইটি পাঞ্জাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট হরভজন সাম্পলা। অ্যাডভোকেট সাম্পলা বলেন, রাজ্যপাল হলেন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। কিন্তু তাদের এই আচরণ নিন্দনীয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এই কালো কাজের জন্য তিনি রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন। 


বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভ উপলক্ষগুলি আর তথাগত বুদ্ধকে উপেক্ষা করা একটি ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র। বোধগয়া মুক্তি আন্দোলনের প্রতিবাদ সাইট বুদ্ধ পূর্ণিমায় এবং শ্রী লামা জির আবেদন আর ৩ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল। ভিক্ষু সংঘ, ভিক্ষু প্রজ্ঞা বোধি, ডঃ হরবনস বির্দি (পাঞ্জাব) এবং অল ইন্ডিয়া বৌদ্ধ সমাজের সাধারণ সম্পাদক আকাশ লামা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে রাজ্যপালের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত, কারণ তিনি তথাগত বুদ্ধকে সম্মান করেননি, বরং তাঁর মূর্তির দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা অন্যান্য দেব-দেবীর পূজা অব্যাহত রেখেছিল। বৌদ্ধ সম্প্রদায় ৫ জুন দিল্লির যন্তর মন্তর এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে এবং তার পদত্যাগ দাবি করবে।




সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যোগে দানের টাকায় শ্রীলঙ্কার প্রতি কৃতজ্ঞ পূজা

প্রতিবেদন - বিপসসী ভিক্ষু

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, স্পেন, থাইল্যান্ড, দুবাই ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় গত ৩০শে আগষ্ট কলম্বো Sri Ganaseeha Viharaya তে বিশেষ কৃতজ্ঞ পূজার আয়োজন করা হয়।

 Sri  Suvarati Maha viddalaya এর সহকারী শিক্ষক Panamure Rahula Thero এর উপস্থাপনায় উক্ত আয়োজনে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘের( Ramañña Maha Nikaya) মহামান্য অনুনায়ক Dr. Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi. 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. 

প্রধান অতিথির(Chief Guest) আসন অলংকৃত করেন-Mr. Md. Reyad Hossain, Counsellor(political) Bangladesh High Commission. 

বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে -Director of Piriven Education Most Venerable Watinapaha Somananada Nahimi, Most Venerable Akuresse Ariyasagara Nahimi প্রাদেশিক সভার সেক্রেটারি Mrs. Dhammikaa Bikramasingha এবং 

Honorable guest হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Mr. Md. Nizamul Islam, Third Secretary, Bangladesh High Commission. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ও শ্রীলঙ্কা ভিক্ষু সংঘের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে নাগেশ্বর চারা রোপনের মধ্যে দিয়ে কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করা হয়। 

উক্ত কৃতজ্ঞ পূজার উদ্বোধন করেন-Most Venerable Soriyawewa Somananda Nahimi , Principle of Sri Lanka Maha Piriven and Sri Ghananaseeha Viharaya, Colombo. 

বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে লিখিত সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন BBSCSL এর সভাপতি বিপসসী ভিক্ষু এবং তা সিংহলি ভাষায় উপস্থাপন করেন শ্রীমৎ অশ্বজিত ভিক্ষু। 

সুচনা বক্তব্যে বিপসসী ভিক্ষু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ হতে বুদ্ধের পবিত্র চুল ধাতু প্রদান, কৃতজ্ঞ পূজার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ভিক্ষুসংঘের যৌথ সামাজিক উন্নয়নের গুরত্ব আলোচনা করেন। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের জন্যে শ্রীলঙ্কার ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরনের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ রিয়াদ হোসাইন বলেন, শ্রীলঙ্কা তার বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা দূর করতে পারে পর্যটন খাতকে উম্মুক্ত করে। 

বাংলাদেশী বৌদ্ধরা শ্রীলঙ্কায় তীর্থভ্রমণের সুযোগ পেলে তা শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশী বৌদ্ধদের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশী বৌদ্ধদের শারিরীক গঠন, বর্ণ, সংস্কৃতি এবং একই বুদ্ধের আর্দশ অনুশীলন করে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান আলোচক -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Western Province Chief Sangha Nayaka Prof. Most Venerable Medagama Nandawansa Nahimi. তিনি আরো বলেন এই কৃতজ্ঞ পূজায় তিনি অনেক আনন্দিত।

শ্রীলঙ্কার ভিক্ষু সংঘও জনগণ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভাসহ সকল সহযোগিতাকারি বাংলাদেশী বৌদ্ধদেরদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ পূজার সভাপতি -Sri Lanka Ramañña Maha Nikaye Anunayaka Dr. Most Venrable Waleboda Gunasiri Nahimi তাঁর বক্তব্যে বলেন- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ব্যক্তি দুর্লভ। তিনি ইতিপূর্বে কখনো এই ধরনের আয়োজন দেখেন নি।বাংলাদেশী বৌদ্ধদের তিনি ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

একই সাথে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশী বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনের জন্যে সুযোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কৃতজ্ঞ পূজা আয়োজনটি Love from Bangladesh শিরোনামে ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে দি বুড্ডিস্ট টিভি। 

উল্লেখ্য বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উদ্যেগে বাংলাদেশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেন,দুবাই, থাইল্যান্ডে অবস্থানকারী বৌদ্ধদের সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১২০ টি পরিবার, ২ টি বৌদ্ধ বিহার ও পিরিবেনে ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার রুপির খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আরো ২৮ লক্ষ রুপির খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে কৃতজ্ঞ পূজা করা হবে। উক্ত কৃতজ্ঞ পূজায় যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।   

কৃতজ্ঞ পূজা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেছে Bangladesh Buddhist Student Council of Sri lanka এর সদস্যবৃন্দ।



বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

৬শ’ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তির খোঁজ পাওয়া গেলো চীনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে জলবায়ুর।চীনে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
পানি কমে কোথাও কোথাও জেগে উঠছে ডুবে থাকা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।



পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। দেখা দিয়েছে খরার। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ-নদীর পানি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি শহর চংকিং-এ ইয়াংজি নদীর অববাহিকায়জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায়প্রায় ৪৫ শতাংশ কম হয়েছে। এতেই নদীটির পানি শুকিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মূর্তি।

ইয়াংজি নদীর চংকিং-শহরের কাছে ভেসে উঠেছে ফয়েলিয়াং নামক দ্বীপ প্রাচীরের সবচেয়ে উঁচুতে থাকা ত্রয়ী বৌদ্ধ মূর্তি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বৌদ্ধ মূর্তিটি ৬০০ বছর আগে মিং এবং কিং রাজবংশের সময় নির্মিত।

এদিকে, নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখাদিয়েছে সাংহাই প্রদেশে। ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সাংহাই শহরের নদীর তীরবর্তী বিল্ডিংগুলোতে সোম ও মঙ্গলবার আলো জ্বালানোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ সীমিত করা হয়েছে